কংগ্রেসের নির্বাচনে খারগে-তারুরের লড়াই! ২৪ বছর পর ফের সভাপতি হতে চলেছেন গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ
কংগ্রেসের নির্বাচনে খারগে-তারুরের লড়াই! ২৪ বছর পর ফের সভাপতি হতে চলেছেন গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ
রাত পোহালেই কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে সম্মুখ সমরে মল্লিকার্জুন খারগে এবং শশী তারুর। ৯ হাজারের বেশি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলির প্রতিনিধিরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন। বেছে নেবেন খারগে কিংবা তারুরকে। সেক্ষেত্রে প্রায় ২৪ বছর পরে গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ কংগ্রেসের সভাপতির পদে বসতে চলেছেন।
দলের ইতিহাসে ইতিহাস
দেশের সব থেকে পুরনো রাজনৈতিক দল। তাদেরই ইতিহাসে ইতিহাস তৈরি হতে চলেছে। নতুন দিল্লির এআইসিসির সদর দফতর ছাড়াও সারা দেশের ৬৫ টির বেশি কেন্দ্রে এই ভোট নেওয়া হবে। ইতিহাস এই কারণে, ১৩৭ বছরের ইতিহাসে এনিয়ে সভাপতি নির্বাচন হতে চলেছে ষষ্ঠবার।
কর্নাটকের বল্লারিতে ভোট দেবেন রাহুল
কংগ্রেস সূত্রে খবর দলের অন্তবর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী এআইসিসির সদর দফতরের ভোট দেবেন। অন্য দিকে ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী রয়েছেন, ভারত জোড়ো যাত্রায়। ভারত জোড়ো যাত্রা রয়েছে কর্নাটকের বল্লারিতে। সেই কারণে রাহুল গান্ধী কর্নাটকের বল্লারির সাঙ্গানাকাল্লুতে ভোট দেবেন। এছাড়াও প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির ৪০ জন প্রতিনিধি ভারত জোড়ো যাত্রায় রয়েছেন।
কোনও অফিসিয়াল প্রার্থী নেই
একদিকে
খারগেকে
যেমন
গান্ধী
পরিবারের
কাছের
বলেই
মনে
করা
হচ্ছে,
অন্যদিকে
তারুরও
নিজেকে
প্রার্থী
হিসেবে
তুলে
ধরতে
বিভিন্ন
রাজ্য
সফর
করেছেন।
অসমে
প্রচারে
গিয়ে
শশী
তারুর
বলেছিলেন
অসম
লড়াই
হচ্ছে।
যদিও
কংগ্রেসের
তরফে
জানিয়ে
দেওয়া
হয়েছিল,
এই
নির্বাচনে
গান্ধী
পরিবার
নিরপেক্ষ।
কোনও
অফিসিয়াল
প্রার্থী
না
থাকার
কথাও
জানানো
হয়েছিল
শতাব্দী
প্রাচীন
দলের
তরফে।
ভোটাভুটিতে
কংগ্রেসের
সভাপতি
নির্বাচন
সম্পর্কে
কংগ্রেসের
সাধারণ
সম্পাদক
জয়রাম
রমেশ
বলেছিলেন,
তিনি
এই
ধরনের
পদের
জন্য
ঐক্যমত্য
গড়ে
তোলার
কংগ্রেসের
মডেলে
বিশ্বাসী।
সাংগঠনিক
নির্বাচন
কংগ্রেসের
সংগঠনকে
আদৌ
কোনওভাবে
শক্তিশালী
করে
কিনা
সেব্যাপারে
তিনি
নিশ্চিত
নন
বলেও
জানিয়েছেন
জয়রাম
রমেশ।
তবে
এই
নির্বাচনকে
তাৎপর্যপূর্ণ
বলেও
মন্তব্য
করেছেন
তিনি।
দুজনের প্রচারে বৈপরীত্য
খারগে এবং তারুরে প্রচারে বৈপরীত্য দেখা গিয়েছে। খারগের প্রচারে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা কিংবা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিদের। অন্যদিকে তারুরের প্রচারে দেখা গিয়েছে অপেক্ষাকৃত নবীনদের। এই বিষয়টি তারুর প্রচারের সময়ে উল্লেখ করেছিলেন। প্রচারে তারুর বলেছিলেন, তিনি পরিবর্তনের জন্য লড়াই করছেন। কিন্তু খারগের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। তবে তারুর বলেছিলেন, যেই কংগ্রেসের সভাপতি হোন না কেন কেউই গান্ধী পরিবারের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে পারবেন না।
কংগ্রেসের সভাপতি পদের জন্য শেষবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা তহয়েছিল ২০০০ সালে। সেবছরে জিতেন্দ্র প্রসাদ সোনিয়া গান্ঝীর বিরুদ্ধে লড়াই করে হেরে গিয়েছিলেন। আর এবার সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা সভাপতির পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায় ২৪ বছর পরে গান্ধী পরিবারের বাইরের একজন কংগ্রেস সভাপতি হতে চলেছেন। ১৯ অক্টোবর সেই ফল জানা যাবে।
ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বৃষ্টি! ৫ দিন ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি আবহাওয়া দফতরের