থানায় আটকে মারধরে অভিযোগ কংগ্রেস নেতাদের! মধ্যরাতের পরে মুক্ত অধীর-সহ অন্য নেতারা
বেলার ১২ থেকে দীর্ঘ সময় থানায় (police station) আটক রাখার অভিযোগ। এছাড়াও ন্যূনতম জলও না দেওয়ার অভিযোগ অধীর চৌধুরী (adhir chowdhury)-সহ আটক অন্য কংগ্রেস নেতাদের। অবশেষে রাত সাড়ে এগারোটার সময় গ্রেফতার না হয় মুক্তির
বেলার ১২ থেকে দীর্ঘ সময় থানায় (police station) আটক রাখার অভিযোগ। এছাড়াও ন্যূনতম জলও না দেওয়ার অভিযোগ অধীর চৌধুরী (adhir chowdhury)-সহ আটক অন্য কংগ্রেস নেতাদের। অবশেষে রাত সাড়ে এগারোটার সময় গ্রেফতার না হয় মুক্তির দাবিতে তুঘলক রোড থানায় প্রতিবাদ শুরু করেন অধীর চৌধুরী, হরিশ রাওয়াত, দীপেন্দর হুডা-সহ অন্য কংগ্রেস নেতারা। পরে মধ্যরাতে তাঁদের মুক্তি (release) দেওয়া হয়।
দুপুরে আটক করা হয় কংগ্রেস নেতাদের
ন্যাশনাল হেরল্ড মামলায় রাহুল গান্ধীকে ইডির তলবের প্রতিবাদ করে সোমবার দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় পথে নামের কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। যদিও আগেই কংগ্রেসের কর্মসূচির ব্যাপারে অনুমতি না দেওয়া কথা জানিয়ে দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। যার জেরে পথে নামার পরেই কংগ্রেস নেতাদের বাসে কিংবা অন্য গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেই তালিকায় যেমন ছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী, তেমনি ছিলেন অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেলের মতো কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।
গভীর রাত পর্যন্ত থানায় স্লোগান-বিক্ষোভ
সোমবার
গভীর
রাত
পর্যন্ত
কংগ্রেস
নেতারা
থানায়
রঘুপতি
রাঘব
স্লোগান
দিয়ে
এবং
গান
গেয়ে
বিক্ষোভ
দেখান।
গভীর
রাতেই
থানায়
আটকের
কারণ
জানতে
চেয়ে
তীব্র
প্রতিবাদ
করেন
কংগ্রেস
নেতারা।
সেই
তালিকায়
ছিলেন
অধীর
চৌধুরী,
দীপেন্দর
হুডার
মতো
নেতারা।
তিনি
বলেন,
পুলিশ
আটকের
কারণ
জানাতে
পারেনি
আবার
থানা
থেকে
যাওয়ার
অনুমতিও
দিচ্ছে
না।
তিনি
বলেন,
কংগ্রেস
রাহুল
গান্ধীকে
নিয়ে
প্রতিবাদ
চালিয়ে
যাবেন।
হরিশ
রাওয়াত
অভিযোগ
করেন
বিজেপির
নির্দেশে
পুলিশ
তাঁদের
বেআইনিভাবে
আটক
করেছে।
তিনি
সংবাদ
মাধ্যমের
সামনে
বলেন,
তাঁরা
সম্মানিত
মানুষ।
কেন
তাঁদেরকে
বেআইনিভাবে
আটক
করা
হল?
বিষয়টি
বিজেপির
নির্দেশে
করা
হয়েছে
বলে
অভিযোগ
করেন।
হরিশ
রাওয়াত
বলেন,
রাহুল
গান্ধীকে
আট-নয়
ঘন্টা
জিজ্ঞাসাবাদ
করা
হয়েছে।
এটা
এজেন্সির
অপব্যবহার
ছাড়া
আর
কিছুই
নয়।
কংগ্রেস
আন্দোলন
অব্যাহত
রাখবে
বলেও
জানান
তিনি।
হরিয়ানার
কংগ্রেস
নেতা
বলে
কংগ্রেস
অন্যায়ের
বিরুদ্ধে
লড়াই
করছে।
এই
লড়াই
তাঁরা
চালিয়ে
যাবেন।
গভীর রাতে চ্যালেঞ্জ অধীরের
সোমবার গভীর রাতে তুঘলক রোড থানায় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, হয় তাঁদের গ্রেফতার করা হোক, না হলে ছেড়ে দেওয়া হোক। তিনি চিৎকার করে বলেন গ্রেফতার করুন। সেই সময় অন্য নেতারাও বলেন, গ্রেফতার করুন। তারপর তাঁরা আদালতে যাবেন। তিনি বলেন, যদি গ্রেফতার না করবেন তো, দরজা খুলুন। দিল্লি পুলিশ ইচ্ছাখুশি মতো কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সেই সময় কংগ্রেস কর্মীরা স্লোগান দেন। এর কিছুক্ষণ পরে থানার দরজা খুলে দেওয়া হয়। মুক্তি পান অধীর চৌধুরী-সহ অন্য কংগ্রেস নেতারা।
কংগ্রেস নেতাদের মারধরের অভিযোগ
কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, দিল্লি পুলিশ সাধারণ কর্মী থেকে পি চিদাম্বরম কাউকেই ছাড় দেয়নি। সবাইকেই মারধর করা হয়েছে। পি চিদাম্বরমের পাঁজরের হাড়ে হেয়ারলাইন ফ্র্যাকটার হয়েছে। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে প্রিভিলেজ মোশনে কেসি বেণুগোপাল, পি চিদাম্বরম, অধীর চৌধুরী-সহ অন্য নেতাদের হেনস্থার বিষয়টি তুলতে পারে।