বিচারককে প্রেমপত্র বন্দিদের! কড়া হুঁশিয়ারি দিল আদালত
কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে যে, সরকারি মালিকানাধীন সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কের সিএমডি সুধীরকুমার জৈন ঘুষ খেয়ে দু'টি ইস্পাত কোম্পানির ঋণ নেওয়ার ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন অবৈধভাবে। এই দু'টি কোম্পানি হল ভূষণ স্টিল এবং প্রকাশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তাই গ্রেফতার করা হয় সুধীরকুমার জৈনকে। পাশাপাশি, ভূষণ স্টিলের ভাইস চেয়ারম্যান নীরজ সিংগল, সিএফও অরুণ আগরওয়াল, প্রকাশ ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি পবন বনশল এবং বিনীত গোধা, পুনীত গোধা, বিজয় পাহুজা, পুরুষোত্তম তোতলানিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাদের মামলার বিচার চলছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে।
"আমি ভদ্র ঘরের মেয়ে। এ সব বদমাইশি বরদাস্ত করব না", বললেন ক্ষুব্ধ বিচারক
এই বিশেষ আদালতের বিচারক স্বর্ণকান্তা শর্মা গতকাল ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি অভিযুক্তদের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, "আমাকে প্রেমপত্র লিখছে বন্দিরা। কী ভেবেছেনটা কী? আপনাদের মক্কেলদের সতর্ক করুন। বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার অপরাধে এ বার আলাদা মামলা রুজু করার নির্দেশ দেব। মনে রাখবেন, আমি ভদ্র ঘরের মেয়ে। আমার সংসার আছে। এ সব বদমাইশি বরদাস্ত করা হবে না।"
বিচারকের রুদ্রমূর্তি দেখে ঘাবড়ে যান আইনজীবীদের দল। তাঁরা বলেছেন, বিষয়টি নিজে অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলবেন। তবে, ঠিক কোন অভিযুক্ত বা অভিযুক্তরা এই প্রেমপত্রগুলি লিখেছে, তা খোলসা করেননি বিচারক।