শ্লীলতাহানির মামলায় মুক্তি পেলে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন অভিযুক্ত, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের
ট্রায়াল কোর্ট (court) শ্লীলতাহানিতে (molestation) অভিযুক্তকে মুক্ত করলে তিনি অভিযোগকারীর কা: থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন। এমনটই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi HC)। আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআর বাতি
ট্রায়াল কোর্ট (court) শ্লীলতাহানিতে (molestation) অভিযুক্তকে মুক্ত করলে তিনি অভিযোগকারীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন। এমনটই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi HC)। তবে এব্যাপারে রায় দিতে গিয়ে আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআর বাতিল করতেও অস্বীকার করেছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
শ্লীলতাহানির অভিযোগে চাকরি যায় অভিযুক্তের
অভিযুক্ত ব্যক্তি রাষ্ট্রসংঘে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগকারী রাষ্ট্রসংঘে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চিঠি লেখেন। যার জেরে রাষ্ট্রসংঘ থেকে চাকরি যায় অভিযুক্তের। বিষয়টি সালিশি প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকলেও অভিযোগকারী রাষ্ট্রসংঘে চিঠি লিখেছিলেন। সেই কারণেই হাইকোর্টের এমন পর্যবেক্ষণ।
এফআইআর সম্পর্কে অবস্থান
এফআইআর সম্পর্কে হাইকোর্ট বলেছে, এটি এতটি তদন্তকারী সংস্থা কিংবা ট্রায়াল কোর্ট হিসেবে প্রমাণ এবং উপস্থাপনের জটিলতার ওপরে কাজ করতে পারে না। এফআইআরের মাধ্যমে একটি বিবেচনাযোগ্য অপরাধ প্রকাশ পেয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ট্রায়াল কোর্টকে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ
দিল্লি হাইকোর্টের তরফে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে ট্রায়াল কোর্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট বলেছে, অভিযোগটি দায়ের করেছেন একজন বিবাহিতা মহিলা। এফআইআর নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। তবে তা বিচারের সময় দেখা উচিত। চার্জশিট দাখিল হওয়ার পরে আদালত এফআইআর বাতিল করতে তাড়াহুড়ো করতে পারে না। হাইকোর্ট আরও বলেছে, সেই কারণেই, এফআইআর বাতিলের আবেদন খারিজ করা হয়েছে।
সতর্ক থাকতে পরামর্শ
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি বলেছেন, এব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। মামলার বাস্তবতা এবং এফআইআর-এর কারণে অভিযুক্তকে রাষ্ট্রসংঘে লাভজনক চাকরি ছাড়তে হয়েছিল। সেই কারণেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ট্রায়াল কোর্ট যদি কোনও অভিযুক্তকে মুক্তি দেয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সময়ের জন্য অভিযোগকারীর থেকে বেতন সহ হওয়া ক্ষতি দাবি করতে পারবেন।
অভিযুক্তের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছেন, অভিযোগটি ছিল ২০১৯-এর ১৩ ডিসেম্বরের। আর মহিলা অভিযোগ করেছিলেন ২০২০-র ১৬-১৭ ডিসেম্বর। একবছরেরও বেশি সময় পরে অভিযোগ দায়ের করে আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে বলে আদালতে সওয়াল করেছিলেন।