তৃণমূলের ২০২৩-এর ক্যাচলাইন ‘এবার ত্রিপুরা’, বিজেপিকে উৎখাত করতে ‘টোটকা’ অভিষেকের
তৃণমূলের ২০২৩-এর ক্যাচলাইন ‘এবার ত্রিপুরা’, বিজেপিকে উৎখাত করতে ‘টোটকা’ অভিষেকের
'খেলা হবে'র পর তৃণমূলের ২০২৩-এর ক্যাচলাইন 'এবার ত্রিপুরা'। একদিনের সফরেই তৃণমূলকে চাঙ্গা করে দিয়ে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি 'এবার ত্রিপুরা' মন্ত্রে ২০২৩-এর লক্ষ্য স্থির করে দিলেন। ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করে এবার তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিশা দেখালেন তিনি। এবার ত্রিপুরার মাটিতে সম্মুখ সমরে তৃণমূল বনাম বিজেপি।
সপ্তাহে সপ্তাহে আসবেন ত্রিপুরায়!
বাংলার ভোটে মোদী-শাহের নেতৃত্বে বিজেপির ফুল টিমকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস অভিষেক, ত্রিপুরা জয়ের টোটকা দিয়ে গিয়েছেন। তৃণমূল কোন পথে এগোবে, কী হবে তাঁদের এই উত্তর-পূর্বের রাজ্য জয়ের কৌশল, তা সবিস্তারে বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। আর জানিয়ে গিয়েছেন, তিনি সপ্তাহে আসবেন ত্রিপুরায়।
ত্রিপুরায় ইনচার্জ বাংলার তৃণমূল নেতারা
অভিষেক জানিয়ে গিয়েছেন, এখন থেকে প্রতিদিন নিয়ম করে ত্রিপুরার মাটিতে প্রচার চলবে। প্রতি সপ্তাহে এক একজনকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলা থেকে ত্রিপুরায় ইনচার্জ হিসেবে থাকবেন একজন করে নেতা। এভাবেই ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারকে চাপে রাখতে চাইছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলাওয়াড়ি সফর শুরু তৃণমূলের
সোমবার অভিষেকের ওই বার্তার পর মঙ্গলবার থেকেই জেলাওয়াড়ি সফর শুরু করেছেন নেতারা। ব্রাত্য বসু, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তরা প্রচার শুরু করেছেন জেলায় জেলায়। এই প্রচারের ধারা অব্যাহত থাকবে। কলকাতা থেকে নিয়মিত নেতারা আসবেন ত্রিপুরায়।
বাংলা মডেলে উৎখাত হবে বিজেপি
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জানান, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি একবার আসে, তিনি পাঁচবার আসবেন, দুবার এলে দশবার আসবেন। প্রতি সপ্তাহে তিনি আসবেন ত্রিপুরার মানুষের দুয়ারে তাঁদের সরকার পৌঁছে দিতে। বিজেপির স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। বাংলা মডেলেই উৎখাত হবে বিজেপি।
সমস্ত বুথে সংগঠন তৈরি ডিসেম্বরের মধ্যে
তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় প্রতিটি বুথে বুথে ডিসেম্বরের মধ্যে সংগঠন তৈরি করবেন তাঁরা। এটা তাঁগের চ্যালেঞ্জ। ত্রিপুরায় মোট ৮টি জেলা, ৫৮টি ব্লক রয়েছে। মোট ৩৩২৪টি বুথ। এই সমস্ত বুথে সংগঠন তৈরি করতে হবে। তার জন্য লক্ষ্যমাত্রা ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।
‘এবার ত্রিপুরা’ ক্যাচলাইনে ফুটবে ঘাসফুল!
অভিষেক নির্দেশ দিয়েছেন, মানুষ দলে দলে তৃণমূলের দিকে আসছে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হলে হবে না। মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছতে হবে। মানুষের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে তা জানাতে হবে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই স্থির হবে, কীভাবে হবে আন্দোলন। তবে এখন থেকেই সেই আন্দোলনের ক্যাচলাইন ঠিক করে দিয়েছেন অভিষেক। 'এবার ত্রিপুরা' ক্যাচলাইনে বাংলার বাইরে ঘাসফুল ফোটানোর লড়াই শুরু অভিষেকের।