গত পাঁচ বছরে ৯২ শতাংশ প্রতিশ্রুতিই পূরণ হয়েছে ঝাড়খন্ডে, রিপোর্ট প্রকাশ
মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যেই বিজেপির শক্তিক্ষয় হয়েছে। হরিয়ানায় সরকার গঠন করতে পারলেও বিজেপির বিজয় রথ এসে থমকে গেছে মহারাষ্ট্রে। এদিকে, চলতি বছরের শেষেই বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে ঝাড়খণ্ডে। এই অবস্থায় ঝাড়খন্ডে শক্তি ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। চলতি বছরেই অন্যান্য রাজ্য গুলিতে করুণ পরিণতির পর এবার ঝাড়খন্ড নিয়ে কিছুটা আশাবাদী বিজেপি সরকার।

একদিকে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে ২০১৪ সালের নির্বাচনে জিতে বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার প্রায় ৯২ শতাংশ পূর্ণ হয়েছে। ২০১৪ সালের ইস্তেহারের ভিত্তিতে বিজেপি সরকারের কার্যক্রম নিয়ে পাবলিক পলিসি রিসার্চ সেন্টার বা পিপিসি সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
বিজেপির প্রশংসা করে এই রিসার্চ সেন্টারের সহ সভাপতি বিনয় সহস্রুবুদ্ধি জানান বিগত বছর গুলিতে ঝাড়খণ্ড সরকারের একাধিক অভিনব পদক্ষেপের ফলে সমাজে অখন্ডতা বজায় রয়েছে, যা অন্যান্য রাজ্যের চিত্র গুলির থেকে খানিক আলাদা। তিনি এই রাজ্যের মহিলা সম্পর্কিত উদ্যোগ গুলিরও বিশেষ ভাবে প্রশংসা করেছেন। রাজ্য সরকারের উজ্বলা দিদি প্রকল্পেরও ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা যায় তাকে। পাশাপাশি ব্যাংক, কৃষি, পশুপালন সহ একাধিক প্রকল্পও রাজ্যে খুবই কার্যকরী প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন তিনি। যদিও সূত্রের খবর, বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ডে গত পাঁচ বছরে ২২ জনের অনাহারে মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ২০১৮ সালেই মৃত্যুর সংখ্যা ১১ জন। অনাহারে মৃত্যু প্রসঙ্গে বিজেপিকে বারবার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধীরা।
অন্যদিকে, রাজ্যের শিল্প বিকাশের জন্য "মেক ইন ঝাড়খণ্ড" গড়ার প্রতিশ্রুতি সহ বিজেপি সরকার একাধিক প্রতিশ্রুতি দিলেও তার কার্যকারিতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। আগামী ৩০শে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত চলবে ঝাড়খন্ডে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হবে ২৩শে ডিসেম্বর। এত কিছুর পরেও বিজেপি সরকার গঠন করতে পারে কি পারেনা, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজ্যের মানুষ।
মহারাষ্ট্রের মতো গোয়াতেও অপেক্ষা করছে বড় চমকের, দাবি সঞ্জয় রাউতের