৫০ মিলিয়ন কোভ্যাক্সিন ডোজের মেয়াদ শেষ হবে জানুয়ারিতে, ব্যাপক ক্ষতির মুখে ভারত বায়োটেক
৫০ মিলিয়ন কোভ্যাক্সিন ডোজের মেয়াদ শেষ হবে জানুয়ারিতে, ব্যাপক ক্ষতির মুখে ভারত বায়োটেক
ভারতে করোনা সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কঠোর করোনা বিধি নেই বললেই চলে। এই পরিস্থিতি ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডোজ নষ্ট হতে চলেছে। ভারতে করোনা ভ্যাক্সিনের চাহিদা এখন নেই বললেই চলে। যার জেরে ভারত বায়োটেকের ৫০ মিলিয়ন কোভ্যাক্সিনের মেয়াদ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শেষ হতে চলেছে।
৫০ মিলিয়ন করোনা ভ্যাক্সিনের ডোজের মেয়াদ শেষ
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিন প্রস্তুত করা শুরু করে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভারত বায়োটেক বছরে এক বিলিয়ন ডোজ উৎপাদনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে। কিন্তু ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে করোনা ভ্যাক্সিনের চাহিদা কমতে থাকে। ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, ২০০ মিলিয়নের বেশি ডোজ বাল্কের আকারে তৈরি করা আছে। ৫০মিলিয়ন ডোজ বোতলে ভরা রয়েছে। এই ৫০ মিলিয়ন ডোজের মেয়াদ ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে শেষ হয়ে যাবে। যার জেরে ভারত বায়োটেক ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। তবে ক্ষতির অঙ্কের পরিমাণ ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়নি।
করোনা ভ্যাকসিন রফতানিতে প্রভাব
দেশব্যাপী করোনার টিকা ২১৯.৭১ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। করোনা ভাইরাস আগের থেকে অনেকটাই দূর্বল হয়ে পড়েছে, করোনায় যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগের কোনও উপসর্গ নেই, উপসর্গ থাকলেও তা মৃদু। যার জেরে করোনা ভ্যাক্সিন রফতানিতেও প্রভাব পড়়তে শুরু করেছে।
বাতিল চুক্তি
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু কোভ্যাক্সিন ক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কোভ্যাক্সিন ক্রয় করা দেশগুলোকে যথাযথ পদক্ষেপ করার আহ্বান জানানো হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। ২০২১ সালে করোনা সংক্রমণের শীর্ষে ছিল ব্রাজিল। ভারতের কাছ থেকে ব্রাজিল কোভ্যাক্সিন কেনার বিষয়ে আগ্রহ করেছিল। কিন্তু কোভ্যাক্সিন নিয়ে বিতর্কের জেরে ২০ মিলিয়ন কোভ্যাক্সিনের ডোজের আবেদন স্থগিত করে দেয়। ২০২১ সালের জুলাই মাসে ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়, ব্রাজিলের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল, তা বাতিল করা হয়েছে।
নিয়ন্ত্রণে করোনা ভাইরাস
ভারতে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে ওমিক্রণের একাধিক উপপ্রজাতির সন্ধান ভারতে মিলেছে। তবে বেশিরভাগের ক্ষেত্রে বিদেশ যাত্রার ইতিহাস রয়েছে। ইউরোপের একাধিক দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে হলেও বিশেষজ্ঞরা সাবধান করেছেন। তাঁরা সতর্ক করে বলেছেন, শীতকালে করোনা সংক্রমণের নয়া ঢেউ আসতে পারে। একাধিক সংস্থা ওমিক্রনের বৈশিষ্ট্যকে সামনে রেখে নতুনভাবে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করছে বলে জানা গিয়েছে। ইউরোপের একাধিক দেশের পাশাপাশি আমেরিকাতেও ওমিক্রন নির্দিষ্ট ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকেই ছুটে আসছে চিনা রকেট, কোথায় আঘাত হানবে কেউ জানে না