CoWIN এ প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকলে সমস্যা কোথায়! কেরল হাইকোর্ট
তিনি বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন
করোনা
আবহে
সকলকে
ভ্যাকসিন
নিতে
হচ্ছে।
আর
তার
জন্যে
অনলাইনে
CoWIN
এ
নাম
রেজিস্টারও
করাতে
হচ্ছে।
করোনা
টিকার
শংসাপত্রে
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র
মোদীর
ছবি
থাকবে
কেন?
টিকার
শংসাপত্র
প্রধানমন্ত্রীর
ছবি
থাকার
ইস্যুকে
চ্যালেঞ্জ
জানিয়ে
কেরল
হাইকোর্টের
দ্বারস্থ
হয়েছিলেন
এক
ব্যক্তি।
কিন্তু
সেই
আবেদন
ধোপেও
টিকল
না।
আদালতের
কাছে
নরেন্দ্র
মোদীর
ছবি
সরানোর
আবেদন
জানিয়েছিলেন
তিনি।
হাইকোর্ট
আবেদনকারী
ব্যক্তিকে
জানায়,
করোনা
ভ্যাকসিন
সার্টিফিকেটে
যদি
প্রধানমন্ত্রী
ছবি
থাকে
তাহলে
আপনার
সমস্যাটা
ঠিক
কোথায়?
এপ্রসঙ্গে বিচারপতি পিভি কুনহিকৃষ্ণণ বলেন, 'আপনি যে ইনস্টিটিউটে কাজ করেন সেখানে জওহরলাল নেহেরুর নামে রয়েছে। তিনিও তো প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কেন আপনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলেন না যে ওই নামটি সরিয়ে দেওয়ার জন্য?’
এদিকে, আবেদনকারীর বলেন, অন্যান্য় দেশে যে ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে তাতে তো সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। এব্যাপারে বিচারপতি পালটা বলেন তাঁরা তাঁদের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গর্বিত নন। তিনি মানুষের বিচারে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আমাদের ভিন্ন রাজনৈতিক মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু তিনি এখনও আমাদের প্রধানমন্ত্রী।
বিচারপতির বলেন, আপনি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে লজ্জিত কেন? ১০০ কোটি মানুষ তো এনিয়ে মনে হচ্ছে কোনও কিছু করছে না, আপনি কেন করছেন?
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত ওই আবেদনকারী একজন আরটিআই অ্য়াক্টিভিস্ট। তিনি বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন। যেখানে তিনি পয়সা খরচ করে নিয়েছেন। যখন তিনি সার্টিফিকেট হাতে পান তখন তিনি দেখেন তাতে প্রধানমন্ত্রীর ছবি। এরপর তিনি আদালতে জানিয়েছিলেন যে ভ্যাকসিনের জন্য তিনি পয়সা খরচ করছেন সেখানে প্রধানমন্ত্রীর ছবি রাখা মানে অধিকারকে হরণ করা। তাই তিনি নরেন্দ্র মোদীর ছবি সরানোর আবেদন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের কাগজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি থাকবে কি না, তা নিয়ে আগেই রাজ্যসভাতেও প্রশ্ন উঠেছিল। কোভিড টিকা শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাপানো কি বাধ্যতামূলক? অধিবেশনের সময় রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল।
কেরল হাইকোর্ট পাশাপাশি আবেদনকারীর উপর ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ করেছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, যদি আবেদনকারী পিটার মিয়ালাপরামভিল এই জরিমানা না দিতে পারেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে কেরল স্টেট লিগাল সার্ভিস অথরিটি রাজস্ব আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু করতে হতে পারে।
আদালত জানিয়েছে, আবেদনকারী ব্যক্তি আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন। এই ধরণের আবেদন নিয়ে যাঁরা আসবেন, তাঁদের কাছেও কড়া বার্তা দিতে চেয়েছে আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটা একটা তুচ্ছ আবেদন বলে মনে করা হবে।