রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার জেরে সঙ্কটে ৯২ দেশ, সিরামের পিছুটানে জুনের শেষেই ১৯ কোটি টিকার ঘাটতি?
সঙ্কটে বিশ্ব, সিরামের ইন্সস্টিটিউটের কারণে ধাক্কা খাচ্ছে কোভ্যাক্স ফেসিলিটি
কোভিড গ্রাফ নামলেও গোটা বিশ্বজুড়েই করোনা ভ্যাকসিনেরক চাহিদা আকাশছোঁয়া। এদিকে নেপাল হোক বাংলাদেশ, বিশ্বের একগুচ্ছ দেশ করোনা টিকার জন্য বর্তমানে ভারতের দিকেই তাকিয়ে। এদিকে নিজ দেশে টিকার জোগান দিতে গিয়েই হিমশিম কাচ্ছে সরকার। এর জন্য অবশ্য পুনের সিরাম ইন্সস্টিটিউটকেই কাঠগড়ায় তুলছেন সকলে। ভারতের বাইরে একাধিক দেশে চাহিদা তুঙ্গে থাকা সত্ত্বেও, পূরণ করতে ব্যর্থ পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।
প্রশ্নের মুখে কোভ্যাক্স ফেসিলিটি
এদিকে করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশ্বজুড়ে টিকাকরণের প্রতি জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই পরিমাণ টিকার ঘাটতিতেই সাধারণ মানুষের হাহাকার ফুটে উঠেছে বিভিন্ন প্রান্তে। কোভ্যাক্স ফেসিলিটির হাত ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার কাজে সন্তুষ্ট ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু দিন যত গড়িয়েছে ততই বেড়িয়ে পড়েছে সিরামের কঙ্কালসার চেহারা। শুধুমাত্র দেশে যে পরিমাণ টিকার চাহিদা রয়েছে তারই জোগান দিতে পারছে না তারা।
ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার কারণেই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি
ভারতে টিকার ঘাটতি দেখা দেওয়ায় দেশের বাইরে রফতানি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র। সেই সঙ্গে ভ্যাকসিনের কারখানায় আগুন লাগায় ক্ষতির সম্মুখীন হয় সংস্থা। যার জেরে হু-র কোভ্যাক্স ফেসিলিটির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন রফতানিতে ব্যর্থ হয় সিরাম। এদিকে ভারত নিজে টিকা উৎপাদন করলেও আজ ন্জেই পড়েছে ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে। টিকার জন্য এখন দিল্লিকে হাত পাততে হচ্ছে আমেরিকার মতো দেশের কাছে।
সঙ্কটে ১২৪টি দেশ
এদিকে নিজ দেশের মানুষদের টিকাকরণে আগ্রাধিকার দেওয়ায় পুরোপুরি ভাবে বন্ধ রয়েছে সমস্ত রকম ভ্যাকসিন রফতানি। কিন্তু যার ফলে দরিদ্র দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ব্যাপাক ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে কোভ্যাক্স কর্মসূচি। ফলে প্রাণঘাতী এই মহামারি আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এখনও পর্য্ন্ত হু-র কোভ্যাক্স ফেসিলিটির হাত ধরে ১২৪টি দেশে প্রায় ৬.৫ কোটি ডোজ সরবরাহ করলেও ঘাটতি ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
জুন মাসের শেষে ১৯ কোটি ডোজের ঘাটতি ?
এদিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। চলতি বছর কোভ্যাক্সের জন্য ২০০ কোটি ডোজ সরবরাহের কথা ছিল তাদের। বেশ কিছু দেশ নিজ চেষ্টায় পরিস্থিতি সামাল দিলেও। বিশ্বের জন্য সিরামের টিকা সরবরাহ বন্ধ থাকায় অনিশ্চয়তায় পড়েছে স্বল্প ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের অন্তত ৯২টি দেশ। এমনকী সিরাম টিকা পাঠানো বন্ধ করায় জুন মাস শেষে কোভ্যাক্সে অন্তত ১৯ কোটি ডোজের ঘাটতিতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোভিড গ্রাফ নামলেও কমছেনা উদ্বেগ, ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টের শক্তিবৃদ্ধিতে দিশেহারা চিকিৎসক মহল