রাম মন্দির নির্মাণের ব্রত, দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে শুধু ফল ও দুধ খেয়েছেন ৮১-র উর্মিলা
রামমন্দির নির্মাণের জন্য দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে অনেকে অপেক্ষা করে ছিলেন। তবে মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের উর্মিলা চতুর্বেদীর জন্য অপেক্ষাটা যেন ছিল আরও দীর্ঘ।
রামমন্দির নির্মাণের জন্য দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে অনেকে অপেক্ষা করেছিলেন। তবে মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের উর্মিলা চতুর্বেদীর জন্য অপেক্ষাটা যেন ছিল আরও দীর্ঘ। গত সপ্তাহের শনিবার সেই অপেক্ষা শেষ হয় রামমন্দিরের দাবিদারদের। তাদেরই একজন মধ্যপ্রদেশের উর্মিলা চতুর্বেদী।
১৯৯২ সাল থেকে ব্রত
উর্মিলা রাম মন্দিরে নির্মাণের সংকল্প নিয়ে ১৯৯২ সাল থেকে ব্রত ধারণ করেন। শেষ পর্যন্ত শীর্ষ আদালতের রায়ে এই সংকল্প সম্পূর্ণ হয়। ব্রত পালন করতে বিগত ২৭ বছর ধরে শুধু ফল ও দুধ খেয়ে এসেছেন উর্মিলা। এখন তাঁর বয়স ৮১ বছর।
খাবারের তালিকা থেকে বাদ অন্ন
উনি জানান, এই ব্রতের পিছনে ওনার একটাই লক্ষ্য ছিল, আর সেটা হল অযোধ্যাতে রাম মন্দির হওয়ার নিজের চোখে দেখা। এবার ওনার এই ইচ্ছে পূর্ণ হতে চলেছে। ৮১ বছরের উর্মিলা চতুর্বেদী ১৯৯২ সাল থেকে অন্ন মুখে তোলেননি। জবলপুরের বিজয় নগর এলাকার বাসিন্দা উর্মিলা চতুর্বেদী জানান, বাবরি মসজিদ ভাঙার সময় দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। দেশ রক্তাত্ত্ব হয়। হিন্দু-মুসলিমরা একে অপরকে মারতে উদ্যত হয়। এসব দেখে তিনি খুব হতাশ হয়ে পড়েন। সেই দিনই তিনি সংকল্প গ্রহণ করেন যে, এবার অযোধ্যাতে রাম মন্দির নির্মাণ হলেই তিনি মুখে অন্ন তুলবেন।
অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম রায়
শনিবার বহু প্রতিক্ষিত অযোধ্যা জমি বিতর্কের রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ে বিবাদের মূলে থাকা ২.৭৭ একর জমিটি হিন্দুদের দেওয়ার কথা বলা হয়। এবং তা তৈরির জন্য তিনমাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে ট্রাস্ট গঠন করতে হবে বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানায়, ১৯৯২ সালে মসজিদ ভাঙা বেআইনি ছিল।
মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ার প্রতিক্ষা
উর্মিলা জানান, এই ২৭ বছরে উনি অনেক সমস্যার সন্মুখিন হয়েছেন। ব্রত পালন করার জন্য উনি নিজের পরিজন আর সমাজের থেকে অনেক দূর হয়ে যান। পরিবারের অনেকেই ওনার এই ব্রত শেষ করার জন্য আবেদন জানান। শুধুমাত্র ফল আর দুধ খেয়ে দীর্ঘ ২৭ বছর কাটানোর পর উর্মিলা চতুর্বেদী এবার নতুন উৎসাহের সঙ্গে অযোধ্যাতে রাম মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ার প্রতিক্ষা করবেন।