মস্তিষ্কে, বুকে, ফুসফুসে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৭০০ ফিতাকৃমি, চিকিৎসকের দ্বারস্থ এই ব্যক্তি
মস্তিষ্কে, বুকে, ফুসফুসে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৭০০ ফিতাকৃমি, চিকিৎসকের দ্বারস্থ এই ব্যক্তি
শরীরের মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে ছোট ছোট দানব। যাঁরা প্রতিদিন একটু একটু করে আপনার শরীরকে অসুস্থ করে তুলছে। ছোট থেকে বড়, সকলের শরীরেই এই কৃমি দেখা দিতে পারে। আর সেটা যদি হয় ফিতাকৃমি, তাহলে তো তা মারাত্মক। মেডিক্যাল পরীক্ষা এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অনকসময়ই ভয়ানক বিষয় সম্পর্কে জানা যায়। সেরকমই চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের এক নতুন ঘটনা সামনে এলো।
সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে ঝেজিয়াং প্রদেশের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি মাথাব্যাথায় ভুগছিলেন এবং খিঁচুনি ধরছিল। তিনি গত একমাস ধরে মাথা ব্যাথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। হাসপাতালের সংক্রম রোগ বিভাগের প্রধান ডাঃ ওয়াং জিয়ান–রং ওই ব্যক্তির পরীক্ষা করে দেখেন যে ফিতাকৃমির জন্য তাঁর শরীরে সংক্রমক পরজীবী রোগ টেনিয়াসিস বাসা বেঁধেছে। কিন্তু ওই ব্যক্তির যখন শরীরের প্রধান প্রধান অঙ্গগুলির পরীক্ষা করা হল, তখন চিকিৎসকরা চমকে যান। স্ক্যান করে দেখা যায় যে ওই ব্যক্তির মস্তিষ্ক, বুক এবং ফুসফুসে ৭০০টি ফিতাকৃমি ঘুরে বেড়াচ্ছে। চিকিৎসকরা এর জন্য দায়ি করেছে শুয়োরের মাংসকে। যা ওই ব্যক্তি হাসপাতালে আসার আগে প্রায় একমাস ধরে খেয়েছেন। ব্যক্তির অঙ্গ–প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে দিয়েছে ওই কৃমিগুলি। ডাঃ ওয়াং বলেন, 'ওই ব্যক্তির মস্তিষ্কের অর্ধেক জুড়ে রয়েছে ফিতাকৃমি। ফুসফুস ও বুকেও তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন (হু) জানিয়েছে যে ফিতাকৃমিগুলি ঠিকভাবে রান্না না হওয়া শূকরের মাংস থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। মানুষের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে অকেজো করে দিতে পারে এই ডিমগুলি। যার জন্য স্নায়ুর রোগও হতে পারে। তবে ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার সিস্টেম (এনএইচএস) জানিয়েছে, পরিস্থিতি তখনই ঘটে যখন নির্দিষ্ট ধরণের ফিতাকৃমি ডিম গিলে ফেলা হয়। ডাঃ ওয়াং জানিয়েছেন, শূকরের মাংস ঠিকভাবে রান্না করা হয়নি বলেই সেখান থেকে ফিতাকৃমি ডিম ওই ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করেছিল।