৭০০ কেজির নিষিদ্ধ 'meow meow' ড্রাগ বাজেয়াপ্ত! আনুমানিক মূল্য ১,৪০০ কোটি
বড়সড় সাফল্য মুম্বই পুলিশের। ৭০০ কেজিরও বেশি 'মেফেড্রোন' বাজেয়াপ্ত করেছে মুম্বই পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পালঘর জেলার নালাসোপাড়ায় একটি ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। আর সেখানে
বড়সড় সাফল্য মুম্বই পুলিশের। ৭০০ কেজিরও বেশি 'মেফেড্রোন' বাজেয়াপ্ত করেছে মুম্বই পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পালঘর জেলার নালাসোপাড়ায় একটি ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। আর সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ এই ড্রাগের হদিশ পান তদন্তকারীরা।
যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১,৪০০ কোটি টাকার কাছাকাছি বলে মনে করা হচ্ছে। এই কোটি টাকার ড্রাগ উদ্ধারের ঘটনা বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে
এই ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জেরা করে আরও জড়িতদের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের মতে, বিশাল পরিমাণ এই ড্রাগ উদ্ধারের ঘটনায় বড়সড় মাথারা জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের মাদকবিরোধী সেল (এএনসি)-এর আধিকারিক এই তল্লাশি চালান। গোপন সূত্রে বেশ কিছু তথ্য আধিকারিকদের কাছে আসে। আর এরপরেই ওই ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটে একেবারে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে বিপুল পরিমাণ এই 'মেফেড্রোন' বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বেইআইনি এই ড্রাগ তৈরি করা হত।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, সম্ভবত ওই কারনাখানায় বেইআইনি এই ড্রাগ তৈরি করা হত। পুলিশের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে এটি মুম্বইয়ের বুকে পুলিশের সবচেয়ে বড় মাদক উদ্ধারের ঘটনা। এর আগে বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি চালানো হলেও এই পরিমাণ তা হয়নি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিপুল পরিমাণ এই ড্রাগ বিভিন্ন জায়গাতে ছড়িয়ে পড়ত। বিভিন্ন হ্যান্ডেলারের মাধ্যমে তা মুম্বইয়ের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ত বলেই মনে করা হচ্ছে।
'meow meow' বা এমডিও বলা হয়।
'মেফেড্রোন'কে 'meow meow' বা এমডিও বলা হয়। এটি ন্যাশনাল নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সেস (এনডিপিএস) আইনের অধীনে নিষিদ্ধ। এর আগে নবী মুম্বইতে ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি টিম ১৫ জুলাইতে একটা বড় নেটওয়ার্ককে ধরে ফেলেছিল। আর এতে কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার করেছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে এই হেরোইনের মূল্য আনুমানিক ৩৬২.৫ কোটি টাকা। ক্রাইম ব্রাঞ্চ টিম প্রকাশ করেছে যে বাজেয়াপ্ত হেরোইনের চালানটি একটি আন্তর্জাতিক ড্রাগ র্যাকেটের সরবরাহ চেইনের একটি অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে
প্রসঙ্গত, মার্বেলের নামে মাদক আনার খবর পেয়েছিল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। আর সেই মতো হানা দিয়ে বড়সড় কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস করে সে রাজ্যের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তবে এবার যেভাবে কয়েকশ কোটি টাকার এই ড্রাগ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে রীতিমত মুম্বই পুলিশের মধ্যেও একটা চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার পর গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
পন্ডিতিয়া রোডের ফ্ল্যাটে পৌঁছল ইডি! পার্থের মুখোমুখি অর্পিতাকে বসিয়ে জেরা শুরু