কানপুরের হোমে ২ অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা ও এক এইচআইভি পজিটিভ সহ ৫৭ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ
কানপুরের হোমে ২ অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা ও এক এইচআইভি পজিটিভ সহ ৫৭ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ
করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা দেশ। চূড়ান্ত অব্যবস্থায় ভুগছে দেশের সরকারি হোম গুলি। এমতাবস্তায় উত্তরপ্রদেশের কানপুরে মেয়েদের একটি সরকারি হোমে মোট ৫৭ জন করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে। এঁদের মধ্যে ৫ জন অন্তঃসত্ত্বা, তাঁদের মধ্যে আবার ২ জন নাবালিকা। একইসাথে ওই ২ নাবালিকার একজনের আবার এইচআইভি ধরা পড়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
সরকারি সূত্রে কি জানা গেছে?
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কানপুরের জেলাশাসক ব্রহ্মদেব তিওয়ারি জানিয়েছেন, "ওই হোমের ৫৭ জন আক্রান্ত মহিলার মধ্যে ৫ জন অন্তঃসত্ত্বা। ওই ৫ জনের ২ জন আবার নাবালিকা, এক নাবালিকা এইচআইভি পজিটিভ। এই মেয়েদের মূলত আগ্রা, এতাহ, কনৌজ, ফিরোজাবাদ ও কানপুরের শিশু সুরক্ষা দপ্তর থেকে এখানে পাঠানো হয়েছিল। হোমে স্থানান্তরের পূর্বেই এঁরা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এই ধরনের ঘটনা মূলত শিশুদের যৌন অপরাধ থেকে বাঁচানোর জন্য তৈরি 'পকসো আইন'-এর আওতায় পড়ে।" তিওয়ারি আরও জানান, "অন্য যে দু'জন মেয়ে করোনা নেগেটিভ বলে জানা গেছে, তাঁরাও অন্তঃসত্ত্বা। কানপুরের শিশু সুরক্ষা দপ্তর থেকে এনাদের এখানে পাঠানো হয়।"
পরীক্ষা করতেই করোনা সংক্রমণ সামনে
একসপ্তাহ আগে ওই মহিলা সরকারি হোমে একজনের করোনা ধরা পড়ার পরেই করোনা পরীক্ষা চালু হয়। ১৮ই জুন ৩৩ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে, পরবর্তী দু'দিনের মধ্যে হোমের আরও ২৮ জন করোনা আক্রান্ত হিসাবে চিহ্নিত হন। সরকারি সূত্রে খবর, কানপুরের ওই হোমে ৭ জন অন্তঃসত্ত্বা, যাঁদের মধ্যে ৫ জন করোনা আক্রান্ত ও ওই ৫ জনের মধ্যে ২ জন নাবালিকা। বর্তমানে সরকারি বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ওনাদের চিকিৎসা চলছে।
পুলিশের তরফে ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস
কানপুরের পুলিশ কমিশনার সুধীর মহাদেব জানিয়েছেন, শিশু সুরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এই নাবালিকাদের উদ্ধার করে কানপুরের এই হোমে পাঠানো হয়। হোমে আসার আগেই যে তাঁরা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, সেই বিষয়টি সুধীরবাবু নিশ্চিত করেন। তবে তিনি এও জানান যে, শিশু সুরক্ষা দপ্তর হোক বা হোম, এই কাজে কোনো সরকারি কর্মী বা স্বাস্থ্যকর্মীর কোনোরকমের গলদ ধরা পড়লে তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে।
শুরু রাজনৈতিক তরজা
ইতিমধ্যে এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে তোলপাড়। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে এই বিষয়ে সরাসরি আক্রমণ করেছেন। রবিবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জানান, "এটা অন্তত স্পষ্ট যে এইসকল বিষয়ে তথ্যগোপনের ব্যাপারটিকে অতি সুদক্ষভাবে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।"
চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত, কোভিড সঙ্কট থেকে উঠে দাঁড়াবে দেশ: সুব্রহ্মণ্যম স্বামী