বায়ুতে ফুঁসছে সমুদ্র, ২০ ফুট উঁচু দানবীয় ঢেউয়ের সামনে অকুতোভয় উদ্ধারকারী দল
তাণ্ডব চালাতে ধেয়ে আসছে বায়ু। ফুঁসতে শুরু করেছে সমুদ্র। উত্তাল আরব সাগরের তীরে তবু অকুতোভয় উদ্ধারকারীরা অপেক্ষায়। ভয়ানক বিপদের হাত থেকে রক্ষা করার তাগিদ নিয়ে তাঁরা উপস্থিত।
তাণ্ডব চালাতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বায়ু। ফুঁসতে শুরু করেছে সমুদ্র। উত্তাল আরব সাগরের তীরে তবু অকুতোভয় উদ্ধারকারীরা অপেক্ষায়। ভয়ানক বিপদের হাত থেকে রক্ষা করার তাগিদ নিয়ে তাঁরা উপস্থিত। অসম সাহসে তাঁরা জয় করবে প্রকৃতির খেয়ালকে। সেই অসম লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত এনডিআরএফ থেকে শুরু করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
আরব সাগরে শক্তি বৃদ্ধি করেছে বায়ু। ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে গুজরাট উপকূলের দিকে। আছড়ে পড়ার আগে সাইক্লোন বায়ুর গতি হবে ১৬৫ কিলোমিটার ঘণ্টায়। এথনই সমুদ্রে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার ঢেউ। রাত পোহালেই গুজরাট উপকূলে তাণ্ডব চালাবে বায়ু। নৌসেনা থেকে শুরু করে ৫২টি উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত মোকাবিলায়।
ফণীর তাণ্ডবের কথা মাথায় রেখেই বায়ুকে সামলাতে রণনীতি ঠিক করেছে প্রশাসন। কেন্দ্রও সমস্তরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই গুজরাত উপকূল খালি করে দেওয়া হয়েছে। আগাম খবর পেয়ে গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রকে রক্ষা করার সবধরনের ব্যবস্থা সেরে রেখেছে প্রশাসন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রস্তুত ভারতীয় সেনারাও। বায়ুসেনা, নৌযান, বিমান, যুদ্ধ জাহাজ প্রস্তুত। গুজরাতের হাই অ্যালার্ট উপকূল সংলগ্ন ১০ জেলায়। মৌসম ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৩ জুন ১৫০ কিলোমিটার বেগে গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়বে এই সাইক্লোন। বুধবার রাত পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপের সামনাসামনি আছে বায়ু। বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যেই তা পৌঁছে যাবে দিউ দ্বীপের কাছে। তখন এর গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার।