প্রজাতন্ত্র দিবসে বেপরোয়া কৃষক, বন্ধ ইন্টারনেট, প্রভাব দিল্লির ৫ কোটি গ্রাহকের ওপর
বন্ধ ইন্টারনেট, প্রভাব দিল্লির ৫ কোটি গ্রাহকের ওপর
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কার্যত দিল্লি দখল করল কৃষকরা। ভাঙচুর হল পুলিশের গাড়ি, বাস। লালকেল্লা দখল করে নিজেদের বিক্ষোভের ধ্বজা ওড়ালো কৃষকরা। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য জাতীয় রাজধানীর কিছু অংশে ইন্টারনেট পরিষেবা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয় মঙ্গলবার। প্রতিবাদকারী কৃষকদের বেপরোয়া আগ্রাসনের মুখে পড়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এনসিটির সিংঘু, গাজিপুর, টিকরি, মুকারবা চৌক, নাঙ্গলোই ও সংলগ্ন এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রেখে দেয়। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এটা স্পষ্ট করে বলা হয়নি যে মোবাইল বা হোম ব্রডব্যান্ডের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে কিনা, কিন্তু শহরের বড় অংশের ইন্টারনেট পরিষেবা এদিন ব্যাহত হতে দেখা যায়।
টেলকম সংস্থাগুলিও শহরে তাদের অধিকাংশ গ্রাহকদের জানিয়ে দেয় যে পরবর্তী নোটিশ না আসা পর্যন্ত তাঁদের এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই নির্দেশ ২৬ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট প্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকলেও পরিস্থিতি যদি ফের অনিশ্চিত হয় তবে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। টেলিকম বিশ্লেষক এ প্রসঙ্গে বলেন, 'বিপুল পরিমাণে জনসমাগমের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা অপরিহার্য। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ যখন হিংসায় পরিণত হল তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে দেখলাম আমরা। এখনও সরকার আইন–শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য নয়। ইন্টারনেট পরিষেবাও ফিরে আসেনি।’
ভারতের টেলিকম নিয়ামক কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী গত অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লিতে ৫,২৭,২০০০০ জন মোবাইল গ্রাহক রয়েছে, যা মুম্বই, কেরল ও ওড়িশাকে পেছনে ফেলে ১২তম বৃহত্তর ওয়্যারলেস বাজারে পরিণত করেছে। মোবাইল ব্যবহারকারীরা ছাড়াও রয়েছে ওয়্যারলাইন ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। ভারতের মতো দেশে ১,১৭১,৮০০,০০০ ওয়্যারলেস ও ওয়্যারড কানেকশন গ্রাহক রয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লির মতো বড় রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবার স্থগিতাদেশের পরিণতির প্রভাব গোটা দেশে পড়েছে।
দিল্লিতে রিল্যায়েন্স জিওর সবচেয়ে বেশি গ্রাহক রয়েছে (১৮,৮৪০,০০০)। তাই সরকার কেবলমাত্র ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিতের জন্য অনুরোধ করলেও, জিওর মতো অপারেটরদের টেলিকম নেটওয়ার্কগুলি পুরোপুরি আইপি-ভিত্তিক যেখানে ডেটা বা ভয়েস কলগুলি সবই ডেটা আকারে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হওয়ার অর্থ হল দিওর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আসা সব ডেটা পরিষেবাই বন্ধ হয়ে যাবে। সেই কারণেই কিছু কিছু এলাকায় ভয়েস কল করতে গিয়েও গ্রাহকরা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
কোমর কষছে তৃণমূল, বিধানসভায় কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশের প্রস্তুতি মমতা সরকারের