রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ীপদের লড়াই আরও একধাপ এগিয়ে গেল! পাশে দাঁড়াল ৪ দেশ
বিশ্ব আঙিনায় ফের একবার বড়সড় সাফল্যের পথে ভারত। এদিন সংসদে একটি প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধর জানিয়েছেন, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের দৌড়ে ভারত অনেকটাই এগিয়েছে। এর আগেএ তিনি এই মর্মে বক্তব্য রাখেন। তবে এদিন সেই বক্তব্যে যুক্ত হয়েছে নয়া তথ্য।
আগে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল...
দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী পদের লড়াই লড়ছে দেশ। এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিস্তৃত ক্ষেত্রে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার জন্য ভারতের নাম সবচেয়ে আগে রয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলীধর একথা সংসদে জানিয়েছিলেন আগেই। তিনি জানান, ভারতের মতো উন্নয়নে বিশ্বাসী বিশ্বের বাকি দেশগুলির সঙ্গে এই মর্মে একযোগে আলোচনা করে যাচ্ছেন ভারতীয় কূটনীতিকরা।
সমর্থন ৪ দেশের!
সংসদে এদিন মন্ত্রী মুরলীধর জানান, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জায়গা করে নিতে ভারত ৪ দেশের সমর্থন পেয়েছে। এই ৪ টি দেশই পরিষদে স্থায়ী সদস্যদের অন্যতম। প্রসঙ্গত ওই ৪ টি দেশের নাম জানাননি মুরলীধর। তবে , একথা সকলেরই জানা যে, নিরাপত্তা পরিষদের ৪ টি স্থায়ী দেশ রাশিয়া, চিন, ইউকে, ফ্রান্স ও আমেরিকা। ফলে ৫ জনের মধ্যে কোন ৪ টি দেশের সমর্থন ভারত পাচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য লাদাখ আবহে।
স্থায়ী পদ , ভারত ও দীর্ঘ লড়াই
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিস্তারের ক্ষেত্রে গতিবিধি অত্যন্ত স্লথ বলে এর আগে অভিযোগ তোলে ব্রাজিল, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা। পরিষদক সংস্কারের প্রক্রিয়াও মন্থর বলে হতাশা জাহির করেছে এই দেশগুলি। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য এই মুহূর্তে ভারতের প্রতিপক্ষ হিসাবে যে শক্তিধর দেশগুলি রয়েছে, তারা হল, জার্মানি, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল ।
মন্ত্রীর বার্তা
এদিন সংসদে মুরলীধর জানান, ভারতের পক্ষে ৪ স্থায়ী দেশের সমর্থন সম্পর্কে একটি আনুষ্ঠানিক নিশ্চিত বার্তা এসেছে। যেখানে পরিষদের বর্ধিত অংশে ভারত স্থায়ী জায়গা পাচ্ছে বলে খবর। এর পাশপাশিই মুরলীধর উল্লেখ করেন যে, ২০১৫ সালে মোদী যখন চিন সফরে যান, তখন চিনের তরফে জানানো হয় যে, বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ে ভারত অংশ নিক , তা চিন চাইছে। নিরাপত্তা পরিষদেও ভারতের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে আগ্রহী চিন। ২০১৫ সালের এই বার্তা সংসদে তুলে ধরেন মুরলীধর।