রণক্ষেত্র সিঙ্ঘু! 'আম জনতা' বনাম কৃষক সংঘর্ষে উত্তপ্ত দিল্লি সীমান্ত
প্রায় ২০০ জন মানুষের আচমকা হামলায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সিঙ্ঘু সীমান্তে। কৃষকদের উপর বিক্ষুব্ধ হয়ে এই 'হামলা' চালান 'স্থানীয় মানুষরা'। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এই হামলা চালানো হয় বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর। এদিকে পুলিশের উপরও এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ইটবৃষ্টি হয়। পুলিশের তাঁবুতেও ভঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানি গ্যাসের শেল ছোঁড়ে।
দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানা থেকে আন্দোলন তুলতে কৃষকদের নির্দেশ
এদিকে আগেই দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানা থেকে আন্দোলন তুলতে কৃষকদের সময় বেঁধে দিয়েছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। বিক্ষোভে ইতি টেনে গতকাল রাতের মধ্যেই আন্দোলনস্থল খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গাজিয়াবাদ প্রশাসন। তবে তা মানতে হননি বিক্ষোভরত কৃষকরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের দাবি, প্রয়োজনে তাঁরা বুলেটবিদ্ধ হতেও তৈরি আছেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জোর করে বিক্ষোভ তুলতে এলে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।
যা বলেন কৃষক নেতা টিকাইত
যদিও এই বিষয়ে কৃষক নেতা টিকাইত বলেছেন, 'শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পক্ষেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গাজিপুর সীমানায় কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। তা সত্ত্বেও সরকার দমন নীতি নিয়েছে। এটাই উত্তরপ্রদেশ সরকারের মুখ।' প্রয়োজন হলে গ্রামাঞ্চল থেকে আরও লোক নিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গাজিপুর এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ
গাজিয়াবাদের জেলাশাসক ওই এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরও প্রচুর বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায়। গাজিপুর সীমানা দু'দিক দিয়েই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সব আন্দোলনস্থল খালি করার জন্য সব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
সিল গাজিপুর সীমান্ত
২৬ নভেম্বর কৃষকদের আন্দোলন শুরু হওয়ার দিন থেকেই সিল করে দেওয়া হয়েছে গাজিপুর সীমানা। মঙ্গলবার কৃষকরা ব্য়ারিকেড ভেঙে তাঁদের ট্র্যাক্টর মিছিল এগিয়ে নিয়ে যান। পুলিশ তাঁদের বাধা দিতে গেলে কয়েকটি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভরত কৃষকদের খণ্ডযুদ্ধ হয়। এরপর একদল কৃষক পুলিশের বাধা পেরিয়ে দিল্লিতে ঢুকে লালকেল্লার দখল নেন। যদিও এদিন লালকেল্লায় হিংসার ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিকাইত।