নাগরোটা কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, জইশ জঙ্গিদের জন্য নয়া সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিল খোদ পাক সেনা?
কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় সুড়ঙ্গের হদিস পেলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। আজ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা জেলায় টহল দেওয়ার সময় সুড়ঙ্গটি সন্ধান পান। বাহিনীর আধিকারিক সূত্রে খবর, পাকিস্তান থেকে ভারতে চোরাপথে অনুপ্রবেশের জন্য সুরঙ্গটি ব্যবহার করছিল জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিরা। ২০০ মিটার লম্বা এই সুড়ঙ্গ পাক সেনার মদত ছাড়া তৈরি সম্ভব নয় বলেও মত গোয়েন্দাদের।
পাক হাইকমিশনারকে তলব দিল্লির
কিছুদিন আগে নাগরোটায় বান টোল প্লাজার কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের হাতে যে চার জঙ্গি নিকেশ হয়েছিল, তারাও সাম্বা সেক্টর দিয়েই পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। এরপর ২১ নভেম্বর পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তলব করেছিল নয়াদিল্লি।
বড়সড় নাশকতার ছক
শ্রীনগর- জম্মু জাতীয় সড়কের কাছে বান টোল প্লাজায় কর্তব্যরত জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেছিল একটি গাড়িতে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা। যথাযথ জবাব দিয়েছিলেন জওয়ানরাও। জওয়ানদের গুলিতে নিকেশ হয়েছিল চার জঙ্গিই। জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১১টি একে-৪৭ রাইফেল, ৩টি পিস্তল, ২৯টি গ্রেনেড।
২৬/১১-এর ধাঁচে নাশকতার ছক
উল্লেখ্য, নভেম্বরের ২৮ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় জেলা উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন। আট দফায় অনুষ্ঠিতত হবে নির্বাচন প্রক্রিয়া। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, এই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য বড়সড় নাশকতার ছক করেছিল জঙ্গিরা। ২৬/১১-এর ধাঁচে নাশকতার ছক ছিল জঙ্গিদের।
সুড়ঙ্গ কুঁজতে চালু হয় তল্লাশি
ওই দিনের ঘটনার পরই সন্দেহ দানা বাঁধে বাহিনীর আধিকারিকদের মধ্যে। অনুমান করা হয়, জঙ্গিরা ভারতে ঢোকার জন্য কোনও সুড়ঙ্গপথ ব্যবহার করছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার থেকে এই ধরনের সুড়ঙ্গগুলিকে খুঁজে বের করার জন্য অভিযান শুরু করেছিলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা।
পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সাহায্যেই তৈরি সুড়ঙ্গ
জানা গিয়েছে, রবিবার সাম্বা সেক্টরের রিগ্যাল পোস্টের কাছে সুড়ঙ্গটির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যা ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ১৬০ মিটার ভিতর পর্যন্ত এসেছে। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান রেঞ্জার্সের চকভুরা থেকে সেই সুড়ঙ্গটি শুরু হয়েছে। ছোটো ছোটো কাঠের পাটাতন দিয়ে সেটিকে মজবুত করা হয়েছিল। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সাহায্য ছাড়া এই সুড়ঙ্গ তৈরি সম্ভব হত না।
মিলেছে পাক যোগের অকাট্য প্রমাণ
খোঁজ মেলা সুড়ঙ্গটির গভীরতা প্রায় ২০ ফুট এবং তিন ফুট চওড়া। সুড়ঙ্গের মুখ প্রায় ১.৫ ফুট চওড়া। যেখান দিয়ে অনায়াসে ৩২ ইঞ্চির কোমর পার করে যেতে পারে। সুড়ঙ্গের মুখ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বালির বস্তা। তাতে লেখা ছিল 'অ্যাঙ্গরো ফার্টিলাইজার, করাচি, পাকিস্তান।' যার জেরে ফের এই ঘটনায় পাক যোগ স্পষ্ঠ হল।
শীঘ্রই
ভারতের
অংশ
হবে
করাচি!
অখণ্ড
ভারতের
ডাক
দিয়ে
যা
বললেন
দেবেন্দ্র
ফড়নবীশ