উপত্যকা কতটা স্বাভাবিক হয়েছে তা দেখতে ১৫টি দেশের প্রতিনিধি এলেন কাশ্মীরে
উপত্যকা কতটা স্বাভাবিক হয়েছে তা দেখতে ১৫টি দেশের প্রতিনিধি এলেন কাশ্মীরে
জম্মু–কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর থেকেই কাশ্মীরে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জারি করা হয় নানা নিষেধাজ্ঞা, বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবাও। গৃহবন্দি করা হয় কাশ্মীরের বহু নেতাকেও। ওঠে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নও। বৃহস্পতিবার উপত্যকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে নিয়ে আসা হয় ১৫টি দেশের প্রতিনিধিদের। কিন্তু তা নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়ে কেন্দ্র সরকার। তবে বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে ১৫ টি দেশের প্রতিনিধিদের কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে উপত্যকায় স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাকে তারা খতিয়ে দেখুক। এই সফর শুধুমাত্র যে কাশ্মীর দেখার জন্য, এই সমালোচনাও অস্বীকার করে সরকার।
আমেরিকা সহ ১৫টি দেশের প্রতিনিধি সরকারি সুযোগ–সুবিধা নিয়ে বৃহস্পতিবারই দু’দিনের সফরে কাশ্মীরে আসেন। যদিও সরকারের এই উদ্যোগকে কংগ্রেসের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে বিদেশি প্রতিনিধিদের জন্য সরকার কাশ্মীরে ঘোরার ব্যবস্থা করে দিয়েছে, অথচ ভারতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সেখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার জানান, আমেরিকার পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, ফিজি, মলদ্বীপ, নরওয়ে, ফিলিপিনস, মরোক্কো, আর্জেন্টিনা, পেরু, নাইজার, নাইজেরিয়া, গুয়ানা এবং তোগো থেকে প্রতিনিধিরা এসেছেন।
জম্মু–কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিশ্বের ১৫টি দেশের প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার কাশ্মীর সফরে এসেছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি পর্যবেক্ষণ করবেন সেখানকার নিরাপত্তাও। প্রতিনিধিরা বেশিরভাগই এসছেন লাতিন আমেরিকা এবং আফ্রিকার দেশগুলি থেকে। অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির প্রতিনিধিরা কেন্দ্রকে জানিয়েছেন তাঁরা অন্য কোনও সময়ে জম্মু–কাশ্মীর সফরে আসবেন। একই সঙ্গে তাঁরা ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লা, ওমর আব্দুল্লা এবং মেহবুবা মুফতির সঙ্গে দেখা করার। বৃহস্পতিবার যে প্রতিনিধিরা এসেছেন তাঁরা জম্মুতে গিয়ে দেখা করবেন লেফট্যানেন্ট গভর্নর জি সি মুর্মুর সঙ্গে। শুক্রবারই তাঁরা ফেরত আসবেন দিল্লি।