রামরাজ্যে মৌর্যের 'পতনে' বিদ্রোহী তিন! যোগীর সঙ্গ ছাড়ছেন আরও ১৩ বিধায়ক? জোর জল্পনা
আসন সংখ্যা কমলেও উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপিই! কার্যত ভোটের আগে সামনে আসা সমীক্ষায় যেখানে বিজেপির নেতা কর্মীরা যখন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে চলেছে তখন সবকিছু এলোমেলো করে দিলেন স্বামী প্রসাদ মৌর্য। হঠাত
আসন সংখ্যা কমলেও উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপিই! কার্যত ভোটের আগে সামনে আসা সমীক্ষায় যেখানে বিজেপির নেতা কর্মীরা যখন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে চলেছে তখন সবকিছু এলোমেলো করে দিলেন স্বামী প্রসাদ মৌর্য। হঠাত করেই রাজ্যের শ্রম, কর্মসংস্থান এবং সমন্বয় মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
এরপরেই অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) সঙ্গে দেখা করে সমাজবাদী পার্টিতে (Samajwadi Party) যোগ দেওয়ার কথা জানান তিনি। স্বামী প্রসাদ মৌর্যের ইস্তফার পরেই খেলা ঘুরে যায় উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে। এখানেই শেষ নয়, অখিলেশের সঙ্গে যখন স্বামী প্রসাদ মৌর্য বৈঠক করছেন সেই সময়ে আরও তিন বিধায়ক দল ছাড়ার ঘোষণা করেন।
একেবারে ভোটের মুখে এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং যোগী আদিত্যনাথ রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। সম্ভব্য প্রার্থী এবং রণকৌশল নিয়ে দুপক্ষের দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। আর এরপরেই বিজেপিতে এই ধাক্কা!
উল্লেখ্য, সাত দফায় নির্বাচন হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন শুরু হচ্ছে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির কাছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রীতিমত প্রেস্টিজিয়াস ফাইট। ক্ষমতা ধরে রাখাটাই চালেঞ্জ। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল উত্তরপ্রদেশ। সবথেকে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্য।
আর সেখানে যখন রণকৌশল নিয়ে ভাবছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব তখন গৃহ-বিদ্রোহ সামলানোটাই চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমনটাই মত রাজনৈতিকমহলের।
যে তিন বিধায়ক বিদ্রোহ শুরু করেছেন তাঁদের মধ্যে তিনজন হল রোশন লাল ভার্মা, ভাগবতী সাগর এবং ব্রজেশ প্রজাপতি। শাহজানপুরের তিলহার বিধানসভা নির্বাচন থেকে বিধায়ক ছিলেন রোশন লাল ভার্মা। তিনি জানিয়েছেন, স্বামী প্রসাদ মৌর্য যেদিকে থাকবেন আমরা সেদিকেই থাকব। কানপুর নগর জেলার বিজেপি বিধায়ক ভাগবতী সাগর এবং বান্দা তিন্দাওয়ারি বিধানসভা এলাকার বিধায়ক ছিলেন ব্রজেশ প্রজাপতি।
অন্যদিকে পদত্যাগের পরেই যোগীকে হুঁশিয়ারি স্বামী প্রসাদ মৌর্য। তাঁর দাবি, এবার বুঝবেন স্বামী প্রসাদ মৌর্য আসলে কে? আমি যেখানে থাকব সেখানেই সরকার তৈরি হবে। একদিকে স্বামী প্রসাদ মৌর্যকে নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে পড়ছে সেই সময়ে এনসিপি প্রধানের পূর্বাভাস আরও বিপদের মুখে ফেলতে পারে বিজেপি।
ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশের ভোটে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন শরদ পাওয়ার। বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে তাঁরা হাত মিলিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন এনসিপি প্রধান। এমনকি অখিলেশের সঙ্গেও তাঁরা জোট নিয়ে আলোচনা চলছে। তাঁর মতে, উত্তরপ্রদেশও বিজেপির থেকে সরে আসতে চায়। আর সেটাই তাঁরা করে দেখাবেন বলে হুঁশিয়ারি এনসিপি প্রধানের।
তাঁর দাবি, একজন দুজন নয়, ১৩ জন বিজেপি বিধায়ক দল ছাড়তে চলেছে। আর তা যদি সত্যি হয় তাহলে ঘুম উড়তে পারে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। অন্যদিকে এই ঘটনা সামনে আসার পরেই রীতিমত কেঁপে গিয়েছে দিল্লি। অমিত শাহ থেকে শুরু করে একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব এই মুহূর্তে ময়দানে নেমে পড়েছেন। পরিস্থিতি সামলানোটাই এখন তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।