নোট বাতিলের পর অার্থিক লেনদেন, সরকারের নজরে ৫৮০০ সন্দেহজনক সংস্থা
নোট বাতিলের পরবর্তী পর্যায়ে ৫,৮০০ সন্দেহজনক কোম্পানি সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে ১৩ টি ব্যাঙ্ক। নোট বাতিলের সময় থেকে ১৩,১৪০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ৪,৫৭৪ কোটি টাকা। তোলা হয়েছে ৪,৫৫২ কোটি টাকা
নোট বাতিলের পরবর্তী পর্যায়ে ৫,৮০০ টি সন্দেহজনক কোম্পানি সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে ১৩ টি ব্যাঙ্ক। নোট বাতিলের সময় থেকে ১৩,১৪০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ৪,৫৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪,৫৫২ কোটি টাকা তুলেও নেওয়া হয়েছে। এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
রেজিস্টার অফ কোম্পানিজ থেকে বাদ পড়া ২,০৯,০৩২টি সন্দেহজনক কোম্পানির মধ্যেই এই কোম্পানিগুলি রয়েছে। ব্যাঙ্কগুলিও এবিষয়ে তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এই সমস্ত কোম্পানিগুলির অ্যাকাউন্টের ওপরে বিধিসনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ব্যাঙ্কগুলি
যে
তথ্য
দিয়েছে,
তাতে
দেখা
যাচ্ছে,
সন্দেহজনক
কোম্পানিগুলির
বেশিরভাগেরই
নিজেদের
নামেই
১০০-র
ওপর
অ্যাকাউন্ট
রয়েছে।
এইরকমই
একটি
সন্দেহজনক
কোম্পানির
অ্যাকাউন্টের
সংখ্যা
২,১৩৪টি।
অনেক
কোম্পানির
অ্যাকাউন্টের
সংখ্যা
৩০০
থেকে
৯০০-র
মধ্যে।
ব্যাঙ্কগুলির
দেওয়া
তথ্য
থেকে
দেখা
যাচ্ছে,
নোট-বাতিল
ঘোষণার
দিন
অর্থাৎ
৮
নভেম্বর,
২০১৬-তে
কোম্পানিগুলির
অ্যাকাউন্টে
ছিল
২২.০৫
কোটি
টাকা।
২০১৬-র
৯
নভেম্বর
থেকে
অ্যাকাউন্টগুলিতে
৪৫৭৩.৮৭
কোটি
টাকা
জমা
পড়ে
এবং
৪,৫৫২
কোটি
টাকা
তুলেও
নেওয়া
হয়।
এরপরের
থেকে
অ্যাকাউন্টগুলি
সুপ্ত
অবস্থাতেই
পড়ে
রয়েছে।
বেশির ভাগ কোম্পানিই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেওয়ার আগে পর্যন্ত লেনদেন চালিয়ে গিয়েছে। সরকারের তরফে একটি ব্যাঙ্কের তরফে দেওয়া একটি প্রমাণ থেকে দেখা যাচ্ছে, নোট বাতিলের শুরুর দিনে ৪২৯ টি কোম্পানির একটি করে জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট ছিল। সেই সংস্থাগুলি ১১ কোটি টাকার বেশি জমা দিয়েছে এবং তুলেছে। অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার দিন সেখানে মাত্র ৪২ হাজার টাকার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
সরকারি তদন্তে জানা গিয়েছে, ৩ হাজারের বেশি কোম্পানির একাধিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ৮ নভেম্বর নাগাদ অ্যাকাউন্টগুলিতে ছিল মাত্র ১৩ কোটি টাকা। মধ্যবর্তী সময়ে সেই কোম্পানিগুলিই ৩,৮০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে কিংবা তুলে নিয়েছে। অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করার সময় প্রায় ২০০ কোটি টাকার নেগেটিভ ব্যালান্স ছিল।
সরকারের তরফে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা মাত্র ২.৫ শতাংশের। ফলে তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে খুব তাড়াতাড়ি পুরো অংশের তদন্ত শেষ করতে বলেছে কেন্দ্র।