কলকাতা সংলগ্ন মেটিয়াব্রুজ, বেহালায় ভোট, ১০২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে মহানগর
কলকাতা সংলগ্ন মেটিয়াব্রুজ, বেহালায় ভোট, ১০২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে মহানগর
চতুর্থ দফায় ভোট রয়েছে কলকাতা সংলগ্ন মেটিয়াব্রুজ ও বেহালায়। কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় ভোট থাকায় আগে থেকেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর। ১০২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিবী পৌঁছে গিয়েছে শহরে। গত তিন দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে। তারপরেই কমিশনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। ভোটারদের পরিচয় পত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।
চতুর্থ দফার ভোট
শনিবার রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট। হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের মোট ৪৪টি কেন্দ্রে হবে ভোট গ্রহন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর দক্ষিণ, ভাঙড়, কসবা, যাদবপুর, সোনারপুর উত্তর, টালিগঞ্জ, বেহালা পূর্ব, বেহালা পশ্চিম, মহেশতলা, বজবজ, মেটিয়াবুরুজ এই কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট। এই সব কেন্দ্রগুলিই কলকাতা সংলগ্ন।
১০২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় ভোট গ্রহন। কাজেই কড়া নজরদারির মধ্যে পড়ে গিয়েছে মহানগর। ইতিমধ্যেই শহরে পৌঁছে গিয়েছে ১০২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বািহনী। এর মধ্যে কিছু বাহিনী মোতায়েন করা হবে ভোটে। বাকি বাহিনীকে কলকাতায় শান্তি বজায় রাখার কাজে ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ শহরে শান্তি বজায় রাখতে রুটমার্চ করবে বাহিনী। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের আধিকারীকদের সঙ্গে ভোট নিেয় বৈঠক সেরেছেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় ক্ষোভ
গত তিন দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শাসক দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে ভোট দিতে বলছে। তিনি অভিযোগ করেছেন মহিলাদের ভোটদিতে বাধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাই একাধিক প্রচার সভা থেকে তিনি মহিলা ভোটারদের বার্তাদিয়েছেন। মমতা বলেছেন এবার সরাসরি সিআরপিএফকে ঘেরাও করে ভোট দিন। একদল ঘেরাও করুন আরেক দল ভোট দিতে যান।
বিজেপির পাল্টা অভিযোগ
সিআরপিএফকে ঘেরাও করা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছে বিজেপি। জয়প্রকাশ মজুমদার অভিযোগ করেছেন বাহিনীকে ঘেরাও করতে বলে দেশ বিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক দলের অধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত।