বায়ু দূষণে বছরে ১ লাখ শিশুর মৃত্যু হয় ভারতে, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
জানেন কি বায়ু দূষণে ভারতে বছরে ১ লাখ শিশুর মৃত্যু হয়? এদের অধিকাংশের বয়স এক থেকে চার বছর। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
জানেন কি বায়ু দূষণে ভারতে বছরে ১ লাখ শিশুর মৃত্যু হয়? এদের অধিকাংশের বয়স এক থেকে চার বছর। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। স্টেট অব ইন্ডিয়া'স এনভায়রনমেন্ট (এসওই)র রিপোর্টে জানা গিয়েছে ভারতে গড়ে ১০,০০০ শিশু বায়ু দূষণের কারণে মারা যায়। পাঁচ বছর বয়স হওয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে এরা। এই শিশু মৃত্যুর হারে কন্যা শিশুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
সারা দেশে দুর্যোগ চরমে
গোটা দেশে বায়ু দূষণের কারণে আবার বছরে ১২.৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয় ভারতে। তার মধ্যে ১ লাখ শিশু। পরিবেদবিদ্দের দাবি সরকার দূষণ মুক্ত করতে যে প্রকল্পগুলি নিয়েছে সেগুলি তেমন ভাবে কাজ করছে না। প্রতি বছরই শীতকালে গোটা উত্তর ভারতে বায়ুদূষণের মাত্রা সব থেকে বেশি হয়। তারমধ্যে শীর্ষে রাজধানী দিল্লি।
শীতে দুর্ভোগ বেশি
গোটা শীতেই বায়ু দূষণের কারণে দৃশ্যমানতা কমে যায়। বিমান ওঠানামা থেকে শুরু করে ট্রেন, বাস সব পরিবহণ পরিষেবাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বায়ু দূষণ মাত্রা ছাড়া হওয়ার কারণে স্কুলে ছুটি ঘোষণা করতে হয় দিল্লি সরকারকে। বায়ু দূষণের আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান বলছে ২০১৭ সালে শুধু ভারতে এই কারণে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১০ লাখ লোকের।
দিল্লি সবচেয়ে এগিয়ে
গ্রিনপিসের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণ হয় রাজধানী দিল্লিতে। যদিও প্রাক্তন পরিবেশমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন সেই রিপোর্ট খারিজ করে দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল এই সব গবেষণা মূলক রিপোর্ট শুধু মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে কাজের কাজ কিছু করে না। যদি মন্ত্রীর দাবি সত্যি হয় তাহলে প্রতিবছর শীতকালে রাজধানী দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা এই হারে বাড়ে কেন। যার জন্য স্কুলে ছুটি দিতে হয়। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে। হয়।
চলছে গাছ নিধন যজ্ঞ
এই দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির আরও একটি বড় কারণ উন্নয়ন। গত পাঁচ বছরে উন্নয়নের নামে শ'য়ে শ'য়ে গাছ কাটা হয়েছে। এমনকী সংরক্ষিত বনাঞ্চলেও সরকারি বরাতে চলেছে গাছকাটা। তার প্রভাব যে পড়বেই তাতে কোনও দ্বিমত নেই। এই উন্নয়নের ধারা যদি অব্যহত থাকে তাহলে সেদিন আসতে আর বেশি দেরি নেই যখন মোবাইলের একে জরুরি হয়ে পড়বে এয়ারপিউরিফায়ার। আর গাড়ির থেকে জরুরি হয়ে পড়বে এয়ার মাস্ক।