সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফের বার্তা, পায়ে হেঁটে যাত্রা বাণিজ্য নগরীতে
সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফের বার্তা, পায়ে হেঁটে যাত্রা বাণিজ্য নগরীতে
বেপরোয়া ভাবে বাইক বা গাড়ি চালানোর প্রবণতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এতে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে তেমনই একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। পথনিরাপত্তার স্বার্থে বাংলায় 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' শীর্ষক কর্মসূচি বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এবার পথনিরাপত্তার স্বার্থে যুব সমাজকে সচেতন করার বার্তা নিয়ে পায়ে হেঁটে বাংলা থেকে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেন এক যুবক।
যাত্রা শুরু
জানা গিয়েছে, গত ১৭ ই অক্টোবর বর্ধমান শহর থেকে যাত্রা শুরু করেন বর্ধমানের মেমারি থানা এলাকার বছর তিরিশের যুবক নিরুপ ঘোষ। পা'য়ে হেঁটে তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে উলুবেড়িয়ার জামবেড়িয়ায় এসে পৌঁছান। ১৬ নং জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি ধাবায় বিশ্রাম নিয়ে ফের শুরু হয় তার পথচলা। নিরুপ ঘোষ জানিয়েছেন, বাংলা, ওডিশা, ছত্তিসগড়, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র হয়ে তিনি মুম্বাই পৌঁছাবেন।
প্রায় আড়াই হাজার কিমি পথ তিনি পা'য়ে হাঁটবেন। নিরুপের কথায়, বর্তমান যুব সমাজের অনেকেই বিশৃঙ্খল জীবনযাপন করছে। অনেকেই বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছে। এর জেরে নিজের যেমন প্রাণহানি ঘটছে, তেমনই অন্যের প্রাণ যাচ্ছে। আর এই বেপরোয়া গতির জেরেই অন্ধকারে ডুবছে বহু পরিবার। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ' ভীষণ কার্যকরী একটি কর্মসূচি।
উদ্যোগকে
সাধুবাদ
এই
উদ্যোগকে
ধন্যবাদ
জানিয়ে
ও
সকলকে
পথ
নিরাপত্তা
সম্পর্কে
এবং
পরিবেশ
বাঁচানোর
বার্তা
দিতেই
তিনি
বাংলা
থেকে
পা'য়ে
হেঁটে
মুম্বাই
চলেছেন।
প্রতিদিন
গড়ে
প্রায়
৪০-৪৫
কিমি
হাঁটছেন।
হাঁটার
মাঝে
কখনো
বিশ্রাম
নিচ্ছেন।
জাতীয়
সড়ক
সংলগ্ন
এলাকার
কোনো
হোটেল
বা
কোনো
শুভাকাঙ্ক্ষীর
বাড়িতে
রাত্রিবাস
করছেন।
আবার
সকাল
হলেই
পিঠে
ব্যাগ,ম্যাট্রেস
আর
কাঁঠে
জাতীয়
পতাকা
নিয়ে
হাঁটা
শুরু
করছেন
নিরুপ।
কী বলছে যুবক?
নিরুপ জানিয়েছেন, আগে তার একটি পোল্ট্রি ফার্ম থাকলেও এখন তিনি সেভাবে কিছু করেননা। বাড়িতে রয়েছেন মা। পরিচিত বন্ধুবান্ধব, পথচলতি মানুষ তার পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। নিরুপের কথায়, ছোটো থেকেই মুম্বাই যাওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। ছোটো বেলার স্বপ্ন পূরণ করতে পথে নেমেছি, তবে একটু অন্যভাবে, অন্য ভাবনা নিয়ে। আর সেই লক্ষ্যেই পায়ে হেঁটে দেশের বাণিজ্য নগরীর পথে এগিয়ে চলেছেন নিরুপ ঘোষ।
সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ
রাস্তায় গাড়ী চালানোর সময় সচেতনতার সামান্য অভাবে প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে I তাই গাড়ী চালানোর সময় নির্দিষ্ট সতর্কতা গুলো মেনে চলা দরকার I 'WORLD ROAD STATISTICS' ২০১৮ (WHO) এর রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ পথ দুর্ঘটনায় মৃত I ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী ভারতবর্ষে প্রতি ১০০টি গাড়ী দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩৭ জন I তাই মানুষকে পথ দুর্ঘটনা বিষয়ে সচেতন করার উদ্দ্যেশ্যে নিয়ে এই সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফের প্রচার অভিযান I
পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ৮ ই জুলাই ২০১৬ সালে কলকাতার নজরুলমঞ্চ থেকে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফের প্রচার অভিযানের শুরু হয় I সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফের মূল উদ্দ্যেশ্যে হল পথ দুর্ঘটনার স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান, মানুষদের পথ নিরাপত্তা সম্মন্ধে সচেতন করা ও ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যবস্থার উন্নতি করা I এই প্রচার অভিযানের মুখ্য ভূমিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও পরিবহন দপ্তর।