
আলোকস্তম্ভ থেকেও অন্ধকার জাতীয় সড়ক, বাড়ছে দুর্ঘটনা-ছিনতাই
১৬ নং জাতীয় সড়ক বরাবর সারি দিয়ে দন্ডায়মান শ'য়ে শ'য়ে আলোকস্তম্ভ। আলোকস্তম্ভ থাকলেও জ্বলে না বেশিরভাগ আলো। আর তার জেরেই বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চুরি-ছিনতাইয়ের আশঙ্কা। দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়কগুলির মধ্যে ১৬ নং জাতীয় সড়ক অন্যতম।

হাওড়া - কোলকাতা থেকে খড়্গপুর কিংবা অন্ধ্রপ্রদেশ - নিত্যদিন হাজার হাজার গাড়ির চলাচল এই জাতীয় সড়কে। কিন্তু গ্রামীণ হাওড়ার বুক চিরে চলে যাওয়া এই গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়ক কার্যত বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনটাই অভিযোগ পথচলতি মানুষের। অভিযোগ, গ্রামীণ হাওড়ায় জাতীয় সড়ক সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড থাকলেও তা অনেকক্ষেত্রেই ভাঙা।
গাড়ির ধাক্কায়
আর তার জেরে সেই ফাঁক দিয়েই গোলে সরাসরি জাতীয় সড়কের লেনে উঠছে কুকুর, গরুর মতো প্রাণী। ফলে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ যাচ্ছে প্রাণীদের। পাশাপাশি, ধুলাগড়, রাণীহাটি, বীরশিবপুর সহ একাধিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় বহু মানুষ প্রতিদিন কাজে আসেন। অভিযোগ, কাজ সেরে বাড়ির ফেরার জন্য বাস বা অটো ধরতে কার্যত দৌড়াদৌড়ি করে জাতীয় সড়কে উঠে আসেন অনেকেই।
বাড়ছে দুর্ঘটনা
এর জেরে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। অন্যদিকে, আলোকস্তম্ভ থাকলেও নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে রয়েছে একের পর আলোকস্তম্ভ। ফলে সন্ধ্যা হলেই গ্রামীণ হাওড়ার একমাত্র জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেমন বাড়ছে তেমনই বাড়ছে চুরি-ছিনতাইয়ের আশঙ্কা। পথচলতি মানুষের দাবি, পথনিরাপত্তার স্বার্থে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
প্রবল খারাপ রাস্তা
সম্প্রতি রাস্তার যে প্রবল খারাপ অবস্থা তার প্রমাণ মিলল আবারও। একটি টোটো একটি কনভয়কে রাস্তা ছাড়তে গিয়ে সম্পূর্ণ উলটে গেল খানাখন্দে ভরা রাস্তায়।
ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?
একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, একটি পুলিশের কনভয় আসছিল। বাজছিল সাইরেন। আর তাতেই সঙ্গে সঙ্গে উল্টো দিক থেকে আসা যাত্রী ভরতি টোটো খানাখন্দে ভরতি থাকা জলের মধ্যে উলটে যায়। এ নিয়ে এক ব্যক্তি লিখেছেন যে বিত্তশালী এবং শক্তিশালি কনভয়কে রাস্তা করে দিতে গিয়ে জলে হাবুডুবু খাচ্ছে গরীবের গাড়ি।