দলবদলেও উলটপুরান! তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকে শতাধিক নেতা-কর্মী
দলবদলেও উলটপুরান! তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকে শতাধিক নেতা-কর্মী
এবার দলবদলেও উলটপুরান। এতদিন শুধু তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির দলবদল দেখা যাচ্ছিল বাংলায়। আর মাঝেমধ্যে দলবদল করে শক্তি বাড়াচ্ছিল কংগ্রেস। তাও সেই সবেধন নীলমণি অধীর চৌধুরীর গড়ে। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগদান, তাও আবার তৃণমূল কংগ্রেস ভেঙে, এমনটাই ঘটল উলুবেডিয়ায়।
তৃণমূল ভেঙে ফরওয়ার্ড ব্লকে
২০১১-য় ক্ষমতা হারানোর পর বামফ্রন্ট কোণঠাসা হয়েছে। ২০১৬-র পর থেকে তো বামফ্রন্টের জায়গা নিতে শুরু করে বিজেপি। বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএমই তাঁদের অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই লড়ছে। তার মধ্যে বামফ্রন্টের অন্য শরিকের হাল খুবই খারাপ। এই পরিস্থিতিতে ফরওয়ার্ড ব্লকের শক্তিবৃদ্ধি হওয়া অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ।
শতাধিক নেতা-কর্মী ফরওয়ার্ড ব্লকে
রবিবার উলুবেড়িয়ায় হাটগাছায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে শতাধিক নেতা-কর্মী ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগদান করেন। হাটগাছা রবীন ঘোষ ভবনে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই যোগদান করানো হয়। যোগদানকারীদের মধ্যে অনেক পরিযায়ী শ্রমিকও রয়েছেন বলে জানান ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা।
তৃণমূলত্যাগীদের হাতে ফরওয়ার্ড ব্লকের পতাকা
ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকে যোগদানকারীদের হাতে পতাকা তুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা কুতুবুদ্দিন আহমেদ, জমিউস শরিয়ত মল্লিক, মহম্মদ নাসির ও মতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই তাঁরা ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগদান করেন বলে দাবি।
পাশে দাঁড়িয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক, তাই
এই যোগদান পর্বের শেষে মতিয়ার রহমান বলেন, করোনা আবহে রাজ্যের সরকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ। নামেই মা-মাটি-মানুষের সরকার, কিন্তু মানুষের পাশে থাকেন না রাজ্যের সরকার এবং শাসক দলের নেতারা। পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি কোনও শাসক নেতাকে। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে বামফ্রন্ট, পাশে দাঁড়িয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক, তাই তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে ফরওয়ার্ড ব্লকে আসছেন।
২০২১-এর লক্ষ্যে মাস্টারস্ট্রোক মমতার, ভাতা পাবেন পুরোহিতরাও! সঙ্গে বাংলার আবাসও