কলকাতা পুরসভার রাস্তায় আলো জ্বালিয়ে হাওড়ার এই পরিবারে শুরু হয় জগদ্ধাত্রী আরাধনা
Array
১৪১ বছর ধরে চলছে হাওড়ার ডোমজুড়ের বেগড়ির আশুবাবুর বাড়ির জগদ্ধাত্রী পূজো। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা যায়, ইংরেজ আমলে কলকাতায় ট্রামের ঘোড়াকে দানা খাওয়ানো ও কলকাতা পুরসভার রাস্তায় আলো জালানোর বরাত পেয়েছিলেন বেগড়ির আশুতোষ ঘোষ। উপার্জনের টাকা দিয়ে তিনি বেগড়িতে জমিদারি পত্তন করেন।
জানবাজারেও অনেক সম্পত্তি
একই সঙ্গে কলকাতায় জানবাজারেও অনেক সম্পত্তি কেনেন। সেই আয়ের টাকা দিয়েই তিনি বেগড়িতে জগদ্ধাত্রী পূজোর প্রচলন করেন। শোনা যায় শুরুর দিকে এই পূজোর জাঁকজমক ছিলো দিকে খার মতো। গোটা গ্রামের মানুষ এই পূজো দেখতে আসতেন। পূজোর সময় বাড়িতে ভিয়েন বসিয়ে রকমারি মিষ্টি তৈরি করানো হত। আশুবাবু নিজের হাতে সেই মিষ্টি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বিলি করতেন।
পূজোর জাঁক কমেছে
আশুবাবুর পরে এই পূজোর জাঁক কমেছে, তবে পূজো এখনো আশুবাবুর পূজো নামেই পরিচিত। পূজোর দ্বায়িত্বে রয়েছেন আশুবাবুর উত্তরাধিকারীরা। পরিবারের অন্যতম সদস্য অনুজিৎ ঘোষের কথায় জগদ্ধাত্রী পূজো উপলক্ষে পুরো গ্রাম একটি পরিবার হিসেবে থাকে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে জানবাজারের বাড়ি ভাড়া থেকে যা আয় হয় সেই দিয়েই নবমীতে পূজো হয়। ভাসানের দিন সন্ধ্যায় হয় পংক্তি ভোজ।
জগদ্ধাত্রী পূজো
জগদ্ধাত্রী
পূজো
মানেই
বাঙালির
হৃদয়ে
দুটি
শহরের
নাম
প্রথমেই
মাথাচাড়া
দেয়,
এক
কৃষ্ণনগর,
দুই
চন্দননগর।সাথে
যে
বিতর্ক
উঠে
আসে
-কোথাকার
পূজো
প্রাচীনতর
-
কৃষ্ণনগরের
নাকি
চন্দননগরের!
তবে
দুটি
শহরের
পূজোর
মধ্যে
মৌলিক
কিছু
পার্থক্য
রয়েছে,
সেটা
জেনে
নেওয়া
দরকার।
প্রথমত,চন্দননগরে
পূজো
হয়
চারটে
দিন
ধরে,সেখানে
কৃষ্ণনগরে
পূজো
কেবল
একদিনের।
তবে
ঐ
একদিনের
পূজার্চনার
মধ্যেই
ষষ্ঠী,সপ্তমী,অষ্টমী,নবমীর
পূজো
নিবেদিত।
অনেকের
প্রশ্ন
-
কৃষ্ণচন্দ্র
রাজাই
কি
বাংলায়
জগদ্ধাত্রী
পূজোর
প্রবর্তক?
উত্তর
না।
বিভিন্ন
প্রাচীন
পুঁথি
অনুযায়ী,
কৃষ্ণচন্দ্র
রাজার
বহু
পূর্ব
থেকেই
এই
পূজো
বাংলায়
প্রচলিত
ছিল।
দিগনগরের
রাঘবেশ্বর
শিবমন্দিরের
দেওয়ালে
জগদ্ধাত্রী
মূর্তি
উৎকীর্ণ,যা
রাঘব
রায়ের
(
কৃষ্ণচন্দ্রের
পূর্বপুরুষ)
সমসাময়িক।
তবে
একথা
মনে
রাখতে
হবে,
কৃষ্ণচন্দ্রর
হাত
ধরেই
এই
পূজো
এক
বিস্মৃতি
অধ্যায়
অতিক্রম
করে,গোটা
বাংলায়
এক
নবরূপ
লাভ
করে।
পাশাপাশি
একথা
বলতেও
কোনো
দ্বিধা
নেই
যে,
কৃষ্ণচন্দ্রই
ছিলেন
একদিনের
জগদ্ধাত্রী
পূজোর
প্রথম
প্রবর্তক।
স্বপ্নকাহিনী
কৃষ্ণনাগরিকদের
কাছে
একটি
স্বপ্নকাহিনী
বহুল
চর্চিত
।
দেখা
যাচ্ছে,বকেয়া
রাজস্ব
জমা
দিতে
ব্যর্থ
হলে,
কৃষ্ণচন্দ্রকে
নবাবের
কারাগারে
নিক্ষেপ
করা
হয়।
মুক্তি
পেলে
জানতে
পারেন
রাজরাজেশ্বরীর
(
রাজবাড়ীর
দুর্গা
)
পূজো
শেষ।
এই
সংবাদে
ভীষণ
মানসিকভাবে
ব্যথিত
হয়ে
পড়েন,পরে
স্বপ্নে
তিনি
দেখতে
পান,এক
মাতৃ
শক্তি
কার্তিক
মাসের
শুক্লা
নবমীতে
তাকে
পূজোর
নির্দেশ
দেন।