হাওড়ায় রঙয়ের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, অগ্নিদগ্ধ এখনও পর্যন্ত ১০
হাওড়ার শালিমারে বিধ্বংসী আগুন। সেখানে একটি রঙয়ের কারখানায় আগুন লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আগুনের তীব্রতা এতটাই যে আশেপাশেও ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘটনার খবর
হাওড়ার শালিমারে বিধ্বংসী আগুন। সেখানে একটি রঙয়ের কারখানায় আগুন লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আগুনের তীব্রতা এতটাই যে আশেপাশেও ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন।
একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চালানো হচ্ছে। কিন্তু যেহেতু রঙয়ের কারখানা। তাই সেখানে ব্যাপক ভাবে দাহ্য পদার্থ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর সেই কারনে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। শুধু তাই নয়, তা নেভাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। কালো ধোঁয়াতে একেবারে ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘিরে রাখা হয়েছে এলাকা কাউকে আশেপাশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, বুধবার দুপুরে শালিমারে বাজাজ রঙয়ের কারখানায় ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। আর এরপরেই দ্রুত কর্মরত শ্রমিকদের বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। তবে এই ঘটনায় ওই কারখানার বেশ কয়েকজন কর্মী আগুনে পুড়ে জখম হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে চারজনকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে আনা হয়েছে। ১০ জনের আহত হওয়ার খবর সামনে আসছে।
অন্যদিকে জ্বলতে থাকা কারখানাটিতে কেউ আটকে আছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। শ্রমিকদের জিজ্ঞেস করে বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে।
মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে দেয়। একেবারে কালো ধোঁয়াতে ঢেকে যায় চারপাশ। বহুদূর থেকে আগুন বের হতে দেখা যায় বলেই খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এমনকি আগুনের তীব্রতা এতটাই যে আশেপাশে যাতে না ছড়িয়ে পড়ে সেজন্যে চারপাশ দিয়ে জল দেওয়ার কাজ চলছে।
তবে কি কারণে এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এমনকি আগুন লাগার কারনও জানা যায়নি। তবে প্রবল গরম। কোনও ভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কারখানায় আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত জিনিস ছিল কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আগুন নেভানোর পরেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে বলে দমকল সূত্রে খবর।
তবে কারখানার মধ্যে এতটাই দাহ্য পদার্থ রয়েছে যে আগুন নেভাতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন দমকল আধিকারিকরা। হাওড়া, শিবপুর এবং দমকলের অন্যান্য কেন্দ্র থেকে বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।