যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সামনে ব্যারিকেড, সমস্যায় যাত্রীরা
Array
কয়েক বছর আগে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে গড়ে তোলা হয়েছিল ঝাঁ চকচকে যাত্রী প্রতীক্ষালয়। কিন্তু যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সামনে ব্যারিকেড থাকায় প্রতীক্ষালয়টি তা ব্যবহার যাচ্ছেনা - এমনই ছবি ধরা পড়েছে গ্রামীণ হাওড়ার আমতায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমতা-রাণীহাটি রোডের চন্দ্রপুর ছোটোপোল এলাকায় বছর পাঁচ-ছ'বছর আগে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে সরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছিল যাত্রী প্রতীক্ষালয়।
ঝড়, জল, রোদে যেমন পথচারীরা আশ্রয় খুঁজে পাবেন তেমনই বাস ধরার ক্ষেত্রে স্থানীয় মানুষের কাছে প্রতীক্ষালয় খুব উপকার হবে। এই ভেবে খুশি হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু বছরের পর বছর ঘুরে গেলেও সেই যাত্রী প্রতীক্ষালয় আজও ব্যবহারের অযোগ্য রয়ে গেছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, যাত্রী প্রতীক্ষালয় থাকলেও প্রতীক্ষালয়ের সামনে রয়েছে রাস্তার ব্যারিকেড। ব্যারিকেড টপকে কেউ-ই প্রতীক্ষালয়ে ঢুকতে পারেননা। ফলে কেউ-ই প্রতীক্ষালয় ব্যবহার করছেন না। এর জেরে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রতীক্ষালয় গড়ে তোলা হলে তা কার্যত অব্যবহৃত অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন আমতা-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তপন চক্রবর্তী। তপন চক্রবর্তী বলেন,"বিধায়কের খামখেয়ালিতে পরিকল্পনাবিহীনভাবে এটি করা হয়েছে।" পথচলতি মানুষের কথায়, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে ব্যারিকেড খুলে যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি ব্যবহারযোগ্য করে দেওয়া হোক। এবিষয়ে আমতা-১ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এদিকে ১৬ নং জাতীয় সড়ক বরাবর সারি দিয়ে দন্ডায়মান শ'য়ে শ'য়ে আলোকস্তম্ভ। আলোকস্তম্ভ থাকলেও জ্বলে না বেশিরভাগ আলো। আর তার জেরেই বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চুরি-ছিনতাইয়ের আশঙ্কা। দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়কগুলির মধ্যে ১৬ নং জাতীয় সড়ক অন্যতম। হাওড়া - কোলকাতা থেকে খড়্গপুর কিংবা অন্ধ্রপ্রদেশ - নিত্যদিন হাজার হাজার গাড়ির চলাচল এই জাতীয় সড়কে। কিন্তু গ্রামীণ হাওড়ার বুক চিরে চলে যাওয়া এই গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়ক কার্যত বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমনটাই অভিযোগ পথচলতি মানুষের। অভিযোগ, গ্রামীণ হাওড়ায় জাতীয় সড়ক সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড থাকলেও তা অনেকক্ষেত্রেই ভাঙা। আর তার জেরে সেই ফাঁক দিয়েই গোলে সরাসরি জাতীয় সড়কের লেনে উঠছে কুকুর, গোরুর মতো প্রাণী। ফলে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ যাচ্ছে প্রাণীদের। পাশাপাশি, ধুলাগড়, রাণীহাটি, বীরশিবপুর সহ একাধিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় বহু মানুষ প্রতিদিন কাজে আসেন।
অভিযোগ, কাজ সেরে বাড়ির ফেরার জন্য বাস বা অটো ধরতে কার্যত দৌড়াদৌড়ি করে জাতীয় সড়কে উঠে আসেন অনেকেই। এর জেরে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। অন্যদিকে, আলোকস্তম্ভ থাকলেও নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে রয়েছে একের পর আলোকস্তম্ভ। ফলে সন্ধ্যা হলেই গ্রামীণ হাওড়ার একমাত্র জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেমন বাড়ছে তেমনই বাড়ছে চুরি-ছিনতাইয়ের আশঙ্কা। পথচলতি মানুষের দাবি, পথনিরাপত্তার স্বার্থে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।