মাস্ক থেকে ভ্যাকসিন, করোনার রোখার 'ঢাল' নিয়ে তৈরি লক্ষ্মী গ্রামের মণ্ডপ
করোনায় নাজেহাল হয়েছে মানুষ। গত দুই বছর পুজো হয়েছে তবে হয়নি উৎসব। এবার দুর্গা পুজোর মাধ্যমে শুরু হয়েছে উৎসব। এবার সেই রেশ পড়ল খালনা গ্রামের লক্ষ্মী পুজোতেও। পুজো ফের রূপ নিচ্ছে উৎসবের। ফিরেছে বড় বাজেটের পুজো। নানা বিষয় নিয়ে কাজ হচ্ছে। ভয়ঙ্কর করোনা কাল নিয়ে থিম বানিয়েছে আমরা সবাই হরিসভা ।
কীভাবে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ?
মণ্ডপের সামনের অংশ বানানো হয়েছে হসপিটালের আকারে। ভিতরে মাস্ক, ভ্যাকসিনের ইমজেক্সন সহ বিভিন্ন ইন্সটলেশন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এমন ভাবেই নানা মণ্ডপ গড়ে উঠেছে খালনা গ্রামে। বলা চলে এই গ্রাম উৎসবে মাততে প্রস্তুত
'লক্ষ্মীগ্রাম'
হাওড়া জেলার খালনা 'লক্ষ্মীগ্রাম' হিসাবে বাংলার বুকে পরিচিত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সমানে সমানে পাল্লা দিচ্ছে বাগনানের দামোদর লাগোয়া জোকা গ্রাম। বেশ কয়েক বছর ধরে জোকা গ্রামে অত্যন্ত জাঁকজমক সহকারে লক্ষ্মীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। জোকা গ্রামের বিগ বাজেটের লক্ষ্মীপুজোগুলোর মধ্যে সৃষ্টি ক্লাবের পুজো অন্যতম। এবার ১১ তম বর্ষে তাদের ভাবনা 'কৃষি উন্নয়ন, সার্বিক উন্নয়ন'।
শৈল্পিক ভাবনা
গ্রাম্য
সংস্কৃতির
মধ্যে
এই
ভাবনাকে
শিল্পীরা
তাঁদের
শৈল্পিক
ভাবনায়
তুলে
ধরছেন।
আর্ট
কলেজের
ছাত্রছাত্রীদের
তুলির
টানে
সেজে
উঠছে
মন্ডপ।
মন্ডপসজ্জায়
খড়,
কাপড়ের
মতো
বিভিন্ন
পরিবেশবান্ধব
সামগ্রী
ব্যবহার
করা
হচ্ছে।
পুজোর
অন্যতম
উদ্যোক্তা
মলয়
গুছাইতের
কথায়,
জোকা
গ্রাম
কৃষিপ্রধান
গ্রাম।
বহুদিন
থেকে
এখানকার
মানুষ
কৃষির
উপর
ভীষণভাবে
নির্ভরশীল।
কিন্তু
নতুন
প্রজন্ম
বিভিন্ন
কারণে
ক্রমশ
কৃষি
থেকে
বিমুখ।
কৃষি
আমাদের
সামগ্রিক
উন্নয়নের
প্রধান
ভিত্তি।
এই বিষয়টাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই আমাদের এবারের এই থিম। তিনি জানান, এবার পুজোর বাজেট প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। মন্ডপের পাশাপাশি প্রতিমাতেও এবারের ভাবনার প্রতিফলন ঘটবে। স্থানীয় শিল্পী বুবাই দেঁড়ে ও আর্ট কলেজের বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী এবার মন্ডপসজ্জায় রয়েছেন।
খালনা গ্রাম পঞ্চায়েত
হাওড়া
জেলার
আমতা
দুই
নম্বর
ব্লকের
খালনা
গ্রাম
পঞ্চায়েতের
রায়,
মল্লিক,
রীত,
দত্ত
বাড়ি
ও
বিভিন্ন
ক্লাব,
সমিতি,
সংঘে
লক্ষী
পুজোর
প্রস্তুতি
চলছে।
খালনা
নদী
মাতৃক
হওয়ায়
দামোদর
নদী,
রূপনারায়ণ
নদী,
মুণ্ডেশ্বরী
নদী,
হুড়হুড়িয়া
খাল,
বেগুনেঘাটা
দহ
,
সর্টকাট
চ্যানেল
দিয়ে
ঘেরা
পূর্বে
ও
এখন
।