প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন লাল-হলুদ কর্তারা, আশ্বাস যে কোনও প্রয়োজনে পাশে থাকার
প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন লাল-হলুদ কর্তারা, আশ্বাস যে কোনও প্রয়োজনে পাশে থাকার
ডার্বি দেখতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক জয় শঙ্কর সাহা। ম্যাচ চালাকালিন প্রয়াত হন তিনি। বাগুইহাটির বাসিন্দা জয় শঙ্করের বয়স হয়েছিল ৩৮। এত কম বয়সে জয় শঙ্করের চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না কোনও ফুটবলপ্রেমীই। এটিকে মোহনবাগান জিতলেও সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মনও ভারাক্রান্ত এই মর্মান্তিক ঘটনায়।
শনিবার রাত পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা ছিলেন স্টেডিয়াম সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে, যেখানে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল শরীরী অনুস্থতা বোধ করার সঙ্গে সঙ্গে। রবিবার সকালে প্রয়াত সমর্থকের বাড়িতে যান লাল-হলুদের তিন কর্তা কোষাধ্যক্ষ দেবদাস সমাদ্দার, তারক দাস, প্রশান্ত দত্ত। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার ক্লাবের পক্ষ থেকে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রয়াত জয় শঙ্করের সন্তানের পড়াশোনার ক্ষেত্রে কখনও কোনও প্রয়োজন পড়লে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবারের যে কোনও প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পরিবারকে। লাল-হলুেদ পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ক্লাবের এই আধিকারিক তাঁর পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন।
লাল-হলুদের কর্তারা এ দিন মারা যাওয়ার পরবর্তী কাজ কর্মগুলি সমপন্ন করেন। বেসরকারি সংস্থার কর্মী প্রয়াত সমর্থকের মৃত দেহ ময়নাতদন্তে নিয়ে যাওয়া এবং সেখান থেকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে ক্লাব। আর জি কর হাসপাতালে হয় ময়না তদন্ত, সেখানে ক্লাবের শীর্ষ আধিকারিক দেবব্রত সরকার উপস্থিত ছিলেন নিজে। জয় শংকর সাহা রেখে গিয়েছেন বাবা-মা, স্ত্রী এবং কন্যা সন্তানকে। স্বামী এই আকস্মিক প্রয়াণ এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁর স্ত্রী। এ দিন ম্যাচ শুরুর প্রথম ১৫ মিনিট পর থেকেই অসুস্থ বোধ করেন জয় শঙ্কর। অন্যান্য ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা পুলিশকে খবর দিলে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ফোর্সের কিছু জন তাঁরে পার্শ্ববর্তী বেসরকারি হাসপাতে নিয়ে যায়। এর পর রাত ৯:০৭ মিনিটে প্রয়াত হন ইস্টবেঙ্গল অন্তঃপ্রাণ মানুষটি।
সূর্যকুমার যাদব একা কুম্ভ রক্ষা করলেন! দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যর্থ ভারতের বাকি ব্যাটাররা