পাহাড়ে মুখ থুবড়ে পড়ল সবুজ-মেরুন, নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে থমকে গেল এটিকে মোহনবাগানের বিজয় রথ
পাহাড়ে মুখ থুবড়ে পড়ল সবুজ-মেরুন, নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে থমকে গেল এটিকে মোহনবাগানের বিজয় রথ
অবশেষে জয়ের মুখ দেখল নর্থইস্ট ইউনাইটেড। ঘরের মাঠে এটিকে মোহনবাগানকে ১-০ গোলে পরাজিত করল তারা। দলের অধিনায়ক উইলমার জর্ডান একমাত্র গোলটি করেন। কলম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ড এমিল বেনির বাড়ানো পাস থেকে গোল করে যান। যদি উইলমারের একটি শট বারে না লাগত তা হলে ২-০ গোলে জিততে পারত নর্থইস্ট ইউনাইটেড।
লাগাতার ম্যাচ হেরে দেওয়া পিঠ ঠেকে যাওয়া নর্থইস্ট ইউনাইটেডের পক্ষে ক্রমাগত হারের ধাক্কা নেওয়াটা রীতিমতো কষ্ঠসাধ্য হয়ে উঠেছিল। সারা মরসুমে শুধুই ব্যর্থতাকে সঙ্গী করে এগিয়ে চলছিল জন আব্রাহামের দলের সফর। এতটাই খারাপ অবস্থায় রয়েছে এই দল যে মাঝ মরসুমেই কোচ বদল করতে হয় পাহাড়ি দলটির ম্যানেজমেন্টকে। ঘরের মাঠ হোক কিংবা বাইরের মাঠ-- নর্থইস্টের খেলায় কোনও পরিবর্তন ছিল না।
দিয়েলা পিঠ ঠেকে যাওয়া দলটার এই মরসুম থেকে পাওয়ার আর কিছু নেই। শুধু হারানো সম্মান কিছুটা পুনোরুদ্ধার এবং উত্তরপূর্বের পাহাড়ি ফুটবলপ্রেমীদের মুখে হাসি ফোটানোর তাগিদ নিয়ে ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল। ম্যাচের শুরু থেকে প্রত্যাশা মতোই আক্রমণে ঝাঁঝ বেশি ছিল এটিকে মোহনবাগানের। ম্যাচ শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট পড় থেকেই মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ম্যাচ যত এগিয়েছে তত আধিপত্য বিস্তার করেছে কলকাতার দলটি। যদিও প্রথমার্ধে গোলের খাতা খুলতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান।
তবে, যে আধিপত্য নিয়ে আইএসএল-এর অন্যতম সফল দলটি খেলছিল তাতে যে কোনও মুহূর্তে গোল চলে আসতে পারত। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে সবুজ-মেরুন। কিন্তু এই ম্যাচে নিজেকে অন্য উচ্চতায়ই নিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন গোলরক্ষক মির্শাদ মিচু। কেরলের এই গোলরক্ষকের বিশ্বস্ত হাতের সামনে বারবার থমকে যেতে হয় সবুজ-মেরুনকে। সারা ম্যাচে আটটি সেভ দেন মির্শাদ যার মধ্যে পাঁচটি ছিল বক্সের মধ্যে থেকে সবুজ-মেরুনের ফুটবলারদের নেওয়া শট। মোহনবাগানের আক্রমণের মধ্যেই প্রতি আক্রমণে এসে গোল করে যায় নর্থইস্ট। ৬৯ মিনিটে এমিল বেনির পাস থেকে উইলমার জর্ডান একমাত্র গোলটি করেন ম্যাচের।