কোপা আমেরিকা-বিশ্বকাপে গোল্ডেন গ্লাভস জয়ী মার্টিনেজকে পাওয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছে চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
কোপা আমেরিকা-বিশ্বকাপে গোল্ডেন গ্লাভস জয়ী মার্টিনেজকে পাওয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছে চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
বর্তমানে বিশ্বসেরা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ এবং এই বিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। যেই ভাবে তিনি আর্জেন্টিনার জার্সিতে পারফরম্যান্স করে চলেছেন সুযোগ পাওয়ার পর থেকে তা অনবদ্য। তাঁর বিশ্বস্ত হাতে কোপা আমেরিকা জেতে আর্জেন্টিনা, বিশ্বকাপেও এমিলিয়ানোর বিশ্বস্ত গ্লাভস আর্জেন্টিনাকে সাফল্য এনে দিয়েছে। কোপা আমেরিকায় গোল্ডেন গ্লাভস জেতার পর ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর গোল্ডেন গ্লাভস জয়ী গোলরক্ষক হয়েছেন তিনি।
এই তারকা গোলরক্ষককে পাওয়ার জন্য লড়াইয়ে নেমেছে বিশ্ব ফুটবলের দুই পাওয়ার হাউস চেলসি এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এমনিতে অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে ২০২৭ পর্যন্ত মার্টিনেজের চুক্তি রয়েছে কিন্তু এই তারকা গোলরক্ষককেই এখন দলে চাইছেন না অ্যাস্টন ভিলা'র কোচ উনাই এমরি। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ফিচাসজেট.নেট-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী স্পোর্টসস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে এই খবর। জানুয়ারির শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষককে সেল করে দিতে মরিয়া তিনি। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী এমেরি খুশি নন মার্টিনেজের টেম্পেরামেন্টের জন্য এবং তাঁকে নিজের দলে তিনি চান না। জানা গিয়েছে তিনি উৎসাহ প্রকাশ করেছেন মরক্কো তথা সেভিয়ার গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনোর প্রতি। বুনোও কাতারে ভাল পারফর্ম করেছেন। সেমিফাইনাল পর্যন্ত মরক্কো পৌঁছনোর নেপথ্যে তিন কাঠির তলায় অস্বীকার্য অবদান রয়েছে বুনোর।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চেলসি এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ঝাঁপিয়ে পড়েছে মার্টিনেজকে নিজেদের জার্সি পরানোর জন্য। দুই ক্লাবই বেশ মোটা অঙ্কের অফার করেছেন আর্জেন্টিনার তারকা গোলরক্ষককে। তবে, এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি মার্টিনেজ। তবে, ইউরোপীয় সংবামাধ্যমের খবর অনুযায়ী মার্টিনেজের পরবর্তী গন্তব্য চেলসি হতে পারে।
ফিচাজেসের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, "দুই জনের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে এবং সব রকম চেষ্টা ভিয়ারিয়ালের প্রাক্তন প্রশিক্ষক করছেন যাতে দল থেকে বের করা যায় তাঁকে।" বিশ্বকাপ জয়ের পর বারবার একাধিক কারণে বিতর্কে থেকেছেন মার্টিনেজ। বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেও দলকে জেতাতে না পারা ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপের জন্য এক মিনিট নিরবতা পালন করার কথাও বলেন তিনি। দেশে ফিরে বিশ্বকাপ জয়ের সেলিব্রেশনে একটি পুতুল হাতে নিয়ে ছিলেন মার্টিনেজ যার মুখে পড়ানো ছিল এমবাপের মুখোশ।
মার্টিনেজের সেলিব্রেশনের বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, "যখন বড় আবেগের মুহূর্ত আপনাকে ঘিরে ধরে তখন সেটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আমি সেটাকে সম্মান করি। এখন জাতীয় দলের অধীনে রয়েছে ও। যখন এখানে আসবে তখন ওর দায়িত্ব আমাদের, তখন ওর সঙ্গে এই বিষয়ে আমরা কথা বলতে পারব। ওর জন্য আমরা অত্যন্ত গর্বিত। নিজের দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে ও এবং এটা অসাধারণ।" যদিও ফিচাজেস জানিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা'র কোচ এবং ফুটবলারের মধ্যে সব কিছু ঠিকঠাক নেই।
উল্লেখ্য, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ যেমন বড় মানের ফুটবলার, তেমনই বড় মাপের মানুষ। অতীতের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যাবে অকারণে কখনও কোনও প্রতিপক্ষের সঙ্গে খারাপ আচরণ তিনি করেননি।
রোনাল্ডোকে বিশ্বকাপে রিজার্ভ বেঞ্চে রাখার নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ দেখছেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি