আইএসএল ২০২০-২১ : মু্ম্বইয়ের বিরুদ্ধেও এগিয়ে থেকে কেরালা ব্লাস্টার্সের হার, খেলার ফলাফল ২-১
আইএসএল ২০২০-২১ : মু্ম্বইয়ের বিরুদ্ধেও এগিয়ে থেকে হার কেরালা ব্লাস্টার্সের, খেলার ফলাফল ২-১
এটিকে মোহনবাগানের পর মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধেও এগিয়ে থেকেও হেরে মাঠ ছাড়তে হল কেরালা ব্লাস্টার্সকে। ২-১ গোলে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের ফয়সলা নির্ধারিত হল। এই জয়ের ফলে ১৫ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার প্রথম স্থানেই দাঁড়িয়ে রইল মুম্বই। ১৬ ম্যাচ খেলে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল তালিকার নবম স্থানে অবস্থান করছে কেরালা ব্লাস্টার্স।
নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ২-১ গোলের হার হজম করে মঙ্গলবার কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মুম্বই সিটি এফসি। অন্যদিকে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে ২ গোলে এগিয়ে থেকেও হারতে হয়েছিল কিবু ভিকুনার দলকে। তাই দুই দলই জেতার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছিল।
ম্যাচের প্রথম থেকেই দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়। দুই দলই একে অপরের গোলমুখে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে। একাধিকবার গোলের কাছে পৌঁছে যায় মুম্বই সিটি এফসি। একটুর জন্য বল তেকাঠিতে রাখতে পারেননি অ্যাডাম লে ফনড্রে। উল্টো দিকে প্রতি-আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে বেশ কয়েকবার মুম্বই ডিফেন্সকে বোকা বানায় কেরালা ব্লাস্টার্স।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে একটি কর্নার পায় কেরালা ব্লাস্টার্স। হেড থেকে গোল দেন ভিনসেন্ট গোমেজ। প্রথমার্ধেই গোল শোধের একাধিক সুযোগ আসে মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি অভিনেতা রনবীর কাপুরের দল। ফলে ১ গোলে পিছিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়তে হয় আইএসএল তালিকার শীর্ষ স্থানে থাকা দলকে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপায় মুম্বই সিটি এফসি। সেই মতো ফলাফলও পায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে গোল দিয়ে মুম্বই সিটি এফসি-কে ম্যাচে সমতায় ফেরান বিপিন সিং। এরপর ম্যাচের দখল কার্যত আকাশী জার্সিধারীরে কবলে চলে যায়। কেরালা ব্লাস্টার্সের গোলমুখে একের পর এক ধারালো আক্রমণ তুলে আনতে থাকে মুম্বই। তার ফলও পেয়ে যায় দুর্দান্ত ছন্দে থাকা দল। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় মুম্বই সিটি। স্পট কিক থেকে গোল দিতে ভুল করেননি অ্যাডাম লে ফনড্রে।
পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়তে রাজি ছিল না কেরালা ব্লাস্টার্স। ম্যাচের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান সাহাল আব্দুল সামাদরা। যদিও কাঙ্খিত গোল হাসিল করতে পারেনি হলুদ জার্সিধারীরা। তবে ম্যাচে প্রায় ৫০ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখে কেরল। তাতে কাজের কাজ হয়নি।