আইএসএল ২০২০-২১: স্টেইনম্যান আর পিলকিংটনের গোলে জামশেদপুরকে হারাল এসসি ইস্টবেঙ্গল
আইএসএল ২০২০-২১: স্টেইনম্যান আর পিলকিংটনের গোলে জামশেদপুরকে হারাল এসসি ইস্টবেঙ্গল
প্লে অফে যাওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখার লড়াইয়ে ফতোরদার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে জামশেদপুর এফসি-কে ২-১ গোলে হারাল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৬ মিনিটের মাথায় নারায়ণ দাসের কর্নারে হেড দিয়ে বিপক্ষের জালে বলি জড়িয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন স্টেইনম্যান। এই নিয়ে তিনি চারটি গোল করলেন লাল হলুদ জার্সিতে, অ্যাসিস্ট করেছেন দুটি। ৩১ মিনিটে পিলকিংটনের ফ্রি কিক ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে চলে যায়।
প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের শেষ দিকে গোলমুখ খোলার আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। রাজু গায়কোয়াড়ের দূরপাল্লার থ্রো-তে মাথাও ছুঁইয়েছিলেন স্টেইনম্যান। যদিও তা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। লাল হলুদ ডিফেন্সও আজ ভরসা দিয়েছে প্রথমার্ধে। তিনকাঠির নীচে তাই খুব বেশি পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি দেবজিতের পরিবর্তে এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া সুব্রত পালকে।
দ্বিতীয়ার্ধেও বল দখলের লড়াইয়ে প্রাধান্য বজায় রাখে লাল হলুদ। নারায়ণ দাসের বাঁ পায়ের জোরালো শট প্রতিহত করেন জামশেদপুরের গোলকিপার রেহনেশ। ৬৩ মিনিটে জামশেদপুরের ভাল্সকিসের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এর পাঁচ মিনিট পরেই ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন অ্যান্টনি পিলকিংটন।
স্টেইনম্যানের বাড়ানো বল থেকে বক্সের ডানদিক থেকে ডান পায়ের শটে গোল করেন তিনি। আইএসএলে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল। এই গোলেরই রিপ্লে হচ্ছিল পিলকিংটনেরই পা থেকে। ৭৯ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে ব্রাইটের বাড়ানো বলে পিলকিংটনের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে, সেকেন্ড টাচ আরেকটু ভালো হলে ইস্টবেঙ্গল ৩-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারত। ম্যাচে ফেরার মরিয়া লড়াই চালাতে থাকে জামশেদপুরও। ফলও আসে।
৮৩ মিনিটে অধিনায়ক পিটার হার্টলের গোলে ব্যবধান কমাতে সক্ষম হয় জামশেদপুর। মনরয়ের কর্নারে মাথা ছুঁইয়েছিলেন ভাল্সকিস, তা জালে না জড়ালেও যায় ইশাকের কাছে, তাঁর ক্রসে হেড করে গোল করেন হার্টলে। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমেও সমতা ফেরানোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল জামশেদপুর। তবে লাল হলুদের জন্য কোনও অঘটন ঘটেনি।
এই জয়ের ফলে ১৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট হলো ইস্টবেঙ্গলের। সমসংখ্যক ম্যাচে জামশেদপুর আটকে রইল ১৮ পয়েন্টে। চার ম্যাচ নির্বাসিত থাকায় এদিন গ্যালারিতে বসে খেলা দেখেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাওলার। এসসি ইস্টবেঙ্গলের আর বাকি রয়েছে চারটি ম্যাচ। পরের ম্যাচ ১২ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে।
১৯ তারিখ কলকাতা ডার্বি, এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে বদলার ম্যাচ। এরপর ২৩ তারিখ নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড ম্যাচ খেলে ২৭ তারিখ লাল হলুদ বাহিনী মুখোমুখি হবে ওডিশা এফসি-র। উল্লেখ্য, এই চারটি দলের মধ্যে প্রথম পর্বের খেলায় একমাত্র ওডিশাকেই হারিয়েছিল ফাওলারের দল। বাকি সকলের বিরুদ্ধে পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয় এসসি ইস্টবেঙ্গলকে।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিশেষ সাক্ষাৎকারে বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকাইত! ফের নয়া হুঁশিয়ারি মোদীকে