অভিশপ্ত স্টেডিয়ামের অস্তিত্বই আর টিকিয়ে রাখতে চায় না ইন্দোনেশিয়ার সরকার
অভিশপ্ত স্টেডিয়ামের অস্তিত্বই আর টিকিয়ে রাখতে চায় না ইন্দোনেশিয়ার সরকার
চলতি মাসের প্রথম দিয়ে বিভৎস ভয়াভয় ঘটনার সাক্ষী থেকে সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় একটি ম্যাচে প্রিয় দলের সমর্থকেরা উচ্ছ্বাস নিয়ে মাঠ ভরালেও শেষটা হয়েছিল বেদনার। ১৩০ জন সমর্থক পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন এবং ১০০-র বেশি সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছিলেন। মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো জানিয়েছেন, বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম বেদনা বহুল স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই স্টেডিয়াম সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে ফেলা হবে এবং নতুন করে তা তৈরি করা হবে।
ফিফা সভাপতি জিয়ানি ইনফ্যান্টিনোর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন এশিয়ার এই দেশটির রাষ্ট্রপতি। সেই বৈঠক শেষে জোকো উইডোডো সাংবাদিকদের বলেছেন, "মালাংয়ের কাঞ্জুরুহানা স্টেডিয়াম আমরা ভেঙে ফেলব এবং ওইখানে নতুন করে তা ফিফা'র মানের স্টেডিয়াম তৈরি করবো। এমন ব্যবস্থা স্টেডিয়ামের মধ্যে করা হবে যাতে খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের সুরক্ষার দিকটাও যথাযথ দেখা যাবে।"
দুই দশকেরও বেশি সময় পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পার্সাবায়া সুরাবায়ার বিরুদ্ধে আরেমা ফুটবল ক্লাব ২-৩ ব্যবধানে পরাজিত হলে এক দঙ্গল সমর্থক মাঠের মধ্যে বিশৃঙ্খতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ঢুকে পড়েন। বিগত দুই দশক চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে না হেরে তাঁরা হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন যে তাঁদের চিরশত্রুর বিরুদ্ধে কখনও না কখনও হারতে হবে।
বিশ্বকাপের তিন ম্যাচে পরাজিত হলেও চিন্তার কোনও কারণ নেই, মনে করেন ভারতীয় মহিলা দলের কোচ
একটা দল সব সময় জিততে পারে না। উন্মতা জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। এর ফলে আরও বেশি বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় মাঠের মধ্যে। পুলিশের এই সিদ্ধান্তে দম নেওয়ার সমস্যা হয় সমর্থকদের এবং তাঁরা দিকভ্রষ্ট হয়ে এ দিক ওদিক দৌড়াতে থাকেন। কাঁদানে গ্যাসকে এড়ানোর জন্য শতশত মানুষ এক্সিট গেটের দিকে দৌড় লাগান। তৎক্ষনাৎই ৩৪ জন মানুষ প্রয়াত হন। এই ম্যাচের শেষে পুলিশি পাহাড়ায় মাঠ ছাড়তে হয় ফুটবলারদের।