চিঠির উত্তর এখনও আসেনি, ক্লাব সচিবের উদাসীনতা ও ইস্টবেঙ্গলের ধারাবাহিক খারাপ পারফরম্যান্সে উদ্বেগে প্রাক্তনীরা
চিঠির উত্তর এখনও আসেনি, ক্লাব সচিবের উদাসীনতা ও ইস্টবেঙ্গলের ধারাবাহিক খারাপ পারফরম্যান্সে উদ্বেগে প্রাক্তনীরা
দীর্ঘ
দু-তিন
বছর
সাফল্যের
ধারের
কাছে
নেই
এসসি
ইস্টবেঙ্গল।
ক্লাবকর্তা
এবং
ইনভেস্টারদের
ইগোর
লড়াইয়ে
ভুগছে
শতাব্দী
প্রাচীন
ক্লাব।
যেই
ক্লাব
একটা
সময়ে
ট্রফি
জেতার
জন্য
মাঠে
নামত
সেই
ক্লাব
এখন
প্রথম
চারেও
জায়গা
করতে
পারছে
না।
ইস্টবেঙ্গল
ক্লাবের
এই
অবস্থায়
সাংবাদিক
সম্মেলন
করে
ক্লাবের
বর্তমান
পরিস্থিতির
নিয়ে
উদ্বেগ
প্রকাশ
করলেন
লাল-হলুদের
প্রাক্তনীদের
নিয়ে
তৈরিএগারো
জনের
কমিটি।
দুই কিংবদন্তি সুকুমার সমাজপতি এবং চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, মিহির বসু, রহিম নবি, মেহতাব হোসেন, অতনু ভট্টাচার্য, অলোক মুখোপাধ্যায়, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়, বিকাশ পাঁজি, কৃষ্ণেন্দু রায়দের নিয়ে গঠিত হয়েছিল এই কমিটি।
বৃহস্পতিবারের সাংবাদি সম্মেলনে প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে গঠিত এই কমিটির অন্যতম মুখপাত্র এবঁ লাল-হলুদের ঘরের ছেলে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই মাঠে নামে। প্রতিটা টুর্নামেন্টে আমরা যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি এমনটা নয় কিন্তু দলের মধ্যে জেতার মানসিকতাটা প্রয়োজন। সেই মানসিকতা নিয়ে দল গড়তে হবে। এই বারের দল গঠনে সেই মানসিকতা দেখা যায়নি।"
একই সঙ্গে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য শুধু কোচকে দোষারোপ করতে চাননি মরোরঞ্জন। তিনি বলেন, "একটা দলের পারফরম্যান্স নির্ভর করে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ফুটবলারদের দক্ষতার উপর। ইস্টবেঙ্গলের এই বারের দলে সেই মানের ফুটবলার নেই। বিদেশিদের মানও আহামরি কিছু নয়। দল গঠনটাই ঠিক মতো হয়নি। পরবর্তীতে যেই ইনভেস্টার থাকুক, জেতার মানসিকতা নিয়ে যাতে দল গঠন করা হয় সেই আবেদন ক্লাবকে আমরা করব।"
প্রবাদপ্রতীম এই ডিফেন্ডারের সংযোজন, "ক্লাবের পক্ষে ভাল হবে যদি পরবর্তী ইনভেস্টার বা স্পনসরদের সঙ্গে সই করার আগে প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে একটা অফিসিয়াল কমিটি গঠন করে তাঁদের পরামর্শ নিয়ে দল গড়া হলে লাভ হবে দলের।" পাশাপাশি মনলো ডিয়াজের সঙ্গে সুর মিলিয়ে সরাসরি না বললেও বুঝিয়ে দিলেন যে দল গঠিত হয়েছে তাতে চ্যাম্পিয়শিপ তো দূর অস্ত্, আইএসএল-এ অবনমন থাকলে তা বাঁচাতে পারত কি না, সন্দেহ রয়েছে।
মনোরঞ্জনের কথায় প্রতিধ্বনী শোনা যায় আরও এক প্রাক্তনী প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, "কোনও কর্মকর্তা বা ইনভেস্টারদের নয়, গত দু'বছরে দলের যা পারফরম্যান্স তাতে একমাত্র খারাপ হচ্ছে ক্লাবেরই। ক্লাব আমাদের দায়িত্ব দিক, প্লেয়ার স্কাউটিং থেকে যে কোনও বিষয়ে আমরা এগিয়ে যাব। প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে আমরা এই ক্লাবের শুভাকাঙ্খী।
আমাদের কোনও টাকা পয়সার প্রয়োজন নেই, শুধু ক্লাবকে পুরনো গড়িমা ফিরিয়ে আনাই লক্ষ্য।" অপর দিকে, বিকাশ পাঁজি জানিয়েছেন, একশো বছরে ইস্টবেঙ্গলের এত খারাপ অবস্থা কখনও হয়নি। ইনভেস্টারদের তুলোধোনা করে তিনি বলেন, "ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কখনও হারেনি তা নয়, কিন্তু একটা ম্যাচ হারলে তারপরের ম্যাচটা কী দাপটের সঙ্গে খেলত সেটা আমরা অনন্ত খুব ভাল মতো জানি। ইস্টবেঙ্গলের যত সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে এরা (শ্রী সিমেন্টস)।"
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ক্রমাগত খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে সচিব কল্যাণ মজুমদারের কাছে চিঠি দিয়েছিল প্রাক্তন ফুটবলারদের এই কমিটি। কিন্তু তাঁর উত্তর এখনও আসেনি। আরও কিছু দিন অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই কমিটি। উত্তর না পেলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে জানানো হয়েছে।