লন্ডনে প্রয়াত চেলসি, জুভেন্তাসে খেলা ইতালির জাতীয় দলের প্রাক্তন স্ট্রাইকার জিয়ানলুকা ভিয়ালি
লন্ডনে প্রয়াত চেলসি, জুভেন্তাসে খেলা ইতালির জাতীয় দলের প্রাক্তন স্ট্রাইকার জিয়ানলুকা ভিয়ালি
মাত্র ৫৮ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম নক্ষত্র জিয়ানলুকা ভিয়ালি। ইতালির জাতীয় দলের এই স্ট্রাইকার নিজের কেরিয়ারে খেলেছেন চেলসি, জুভেন্তাস, সাম্পদোরিয়ার মতো ক্লাবে। চেলসির হয়ে খেলার পর সেই ক্লাবের কোচের দায়িত্বও পালন করেছিলেন ভিয়ালি। এ ছাড়াও সামনেছেন ওয়াটফোর্ডের কোচের দায়িত্ব।
দীর্ঘ দিন ধরেই যকৃত ক্যান্সারে ভুগছিলেন এই তারকা। শেষ পর্যন্ত এই রোগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। ক্রিমোনেসে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন জিয়ানলুকা। ক্লাবটির হয়ে ১০৫ ম্যাচে ২৩ গোল করেন তিনি। এর পর সাম্পদোরিয়ার হয়ে সিরি এ-তে খেলেন। ২২৩ ম্যাচে ৮৫ গোল করা ভিয়ানলুকাকে ১৯৯২ সাল সই করায় জুভেন্তাস। সেখানে ১০২ ম্যাচে তিনি করেন ৩৮টি গোল।
সিরি এ-তে দাপিয়ে খেলার পর ইতালির জাতীয় দলের তারকা স্ট্রাইকারকে সই করায় প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসি। তিন মরসুমে চেলসির হয়ে ৫৮ ম্যাচে ২১টি গোল করেন এই দীর্ঘকায় স্ট্রাইকার। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত ইতালির হয়ে খেলেছেন জিয়ানলুকা ভিয়ালি। জাতীয় দলের জার্সিতে ৫৯ ম্যাচে ১৬টি গোল করেছেন তিনি। পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর জিয়ানলুকা কোচিংয়ের কাজে মনযোগ দেন যদিও দীর্ঘ সময় ম্যানেজার হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। মাত্র দুই মরসুমই কোচিং করান। ১৯৯৯-২০০০ মরসুমে তিনি চেলসির ম্যানেজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০১-২০০২ মরসুমে তিনি দায়িত্ব পান করেন ওয়াটফোর্ডের ম্যানেজার হিসেবে।
কোচ এবং ফুটবলার হিসেবে একাধিক কৃতিত্ব তিনি অর্জন করেছেন। সাম্পদোরিয়ার হয়ে জেতেন সিরি এ, কোপা ইতালিয়া, সুপার কোপা ইতালিয়ানা, উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ। ইউরোপিয়ান কাপ যা বর্তমানে পরিচিত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামে সেখানে সাম্পদোরিয়াকে চ্যাম্পিয়ন করতে না পারলেও ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন। ইতাটির ক্লাবটি রানার্স হয়েছিল।
জুভেন্তাসের হয়েও জেতেন সিরি এ, কোপা ইতালিয়া, সুপার কোপা ইতিলিয়ানা, উয়েফা কাপ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যেটায় ফাইনালে পৌঁছেও জিততে পারেননি সাম্পাদোরিয়ার হয়ে সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার স্বাদ পান জুভেন্তাসের জার্সিতে।
চেলসির হয়ে তিনি জিতেছেন এফএ কাপ, লিগ কাপ এবং উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ জয়ী ইতালির জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন তিনি। কোচ হিসেবে চেলসিকে তিনি এফএ কাপ, লিগ কাপ, এফএ চ্যারিটি শিল্ড, উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ এবং উয়েফা সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন করেন। ২০১৮ সালের নভেম্বর রেডিওফেরাপি এবং কেমোফেরাপি তাঁকে নিতে হয়েছিল জানিয়েছিলেন ভিয়ালি। ২০১৭ সালে জানা যায় তিনি মারণ রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত। ২০২০ সালে জানানো হয়েছিল তিনি ক্যান্সর থেকে মুক্ত কিন্তু ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তিনি জানান ওই রোগ আবার ফিরে এসেছে।
চেলসির বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয়ের পর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের প্রশংসা পেপ গুয়ার্দিওলার কন্ঠে