ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল স্টেডিয়ামে ১৩০ জনের বেশি মানুষ পদপিষ্ট! মন্ত্রী জানালেন চাঞ্চল্যকর কারণ
ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল স্টেডিয়ামে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ। দুর্ঘটনার পর থেকে সরকারি আধিকারিকদের পাশাপাশি ফুটবল ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের তদন্তে নামানো হয়। তাতেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইন্দোনেশিয়ার নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীর দাবি, টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটানোতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
ভয়াবহ দুর্ঘটনা
বিশ্ব ফুটবলের ভয়াবহ দুর্ঘটনাগুলির মধ্যে প্রথম দিকেই থাকবে ইন্দোনেশিয়ার কানজুরুহান স্টেডিয়ামের উদাহরণ। ১ অক্টোবর পূর্ব জাভার স্টেডিয়ামে এই মারাত্মক দুর্ঘটনাটি ঘটে। ইন্দোনেশিয়ার কো অর্ডিনেটিং সিকিউরিটি মিনিস্টার মাহফুদ এমডি আজ দাবি করেছেন, ৩২টি সিকিউরিটি ক্যামেরায় যে ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে তাতে স্পষ্ট হয়েছে দুর্ঘটনাটি নিয়ে প্রথম দিকে যে ধারণা তৈরি হয়েছিল, তার চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
কাঁদানে গ্যাসেই বিপত্তি
ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে ১২৪ পাতার রিপোর্ট। এখনও তদন্ত চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যে রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়েছিল তা কতটা বিষাক্ত তা পরীক্ষা করে দেখছে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রী দাবি করেছেন, তদন্তে যা-ই উঠে আসুক না কেন, এটা নিয়ে কোনও সংশয় নেই কাঁদানে গ্যাসের কারণেই এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গাফিলতি চরমে
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা নিশ্চিত, স্টেডিয়ামের ভিতর কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগে ফিফার নিষেধাজ্ঞার কথা জানতেনই না দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা। অত্যধিক হারে গ্যাস প্রয়োগেই যে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তদন্ত রিপোর্টে ইতিমধ্যেই তা পরিষ্কার। তদন্তকারীরা ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের গাফিলতির দিকেও আঙুল তুলেছেন। দাবি করা হয়েছে, এই ফুটবল সংস্থা বিভিন্ন নিয়মকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। সে কারণে দেশের ফুটবল সংস্থার চেয়ারম্যান ও এগজিকিউটিভ কমিটির পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। যে ম্যাচটির সময় এই এই দুর্ঘটনা, সেটির আয়োজক পিটি লিগা ইন্দোনেশিয়া বারু দায় এড়াতে পারে না বলেও দাবি তদন্তকারীদের।
ফিফার তৎপরতা
দুর্ঘটনার পর থেকেই ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন এবং পিএসএসআইকে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাকর্তারাও তদন্তে নিয়োজিত হয়েছেন। পুলিশ নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করে জানিয়েছে, স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশি দর্শক ঢুকে পড়েছিলেন। দরজাগুলিও খুব সরু ছিল। সে কারণেই পদপিষ্টের ঘটনা এড়ানো যায়নি। তিন পুলিশকর্মী-সহ ৬ জনকে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফিফার সঙ্গে হাত মিলিয়ে দর্শক নিয়ন্ত্রণের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর ইন্দোনেশিয়ায় অনূর্ধ্ব ২০ ফুটবল বিশ্বকাপ রয়েছে। সে কারণেই তৎপর হয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খুললেন অরুণ ধুমল, কী বললেন অনুরাগ ঠাকুরের ভাই?