রাশফোর্ড ও ফডেনের দুরন্ত গোল, ওয়েলসকে ছিটকে দিয়ে বিশ্বকাপের নক আউটে সেনেগালের সামনে ইংল্যান্ড
ফিফা বিশ্বকাপে গ্রুপ বি-র শীর্ষে থেকেই নক আউট পর্বে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড। আহমদ বিন আলি স্টেডিয়ামে হ্যারি কেনের দল হারিয়ে দিল ওয়েলসকে। প্রথমার্ধে খেলার ফল ছিল গোলশূন্য। যদিও প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াই-সহ সবদিক দিয়েই দাপট ছিল ইংল্যান্ডের। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই ফের আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। ৯৮ সেকেন্ডের ব্যবধানে মার্কাস রাশফোর্ড ও ফিল ফডেনের গোলই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। পরে ব্যবধান বাড়ান রাশফোর্ডই।
এই নিয়ে বিশ্বকাপের আসরে প্রথমবার মুখোমুখি হলো দুই ব্রিটিশ দল। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মধ্যে পারস্পরিক দ্বৈরথের নিরিখে এই ম্যাচটি ছিল ১০৪তম। শেষ ৬টি সাক্ষাতেই জয় নিশ্চিত করেছিল থ্রি লায়ন্স। সেই ধারা অব্যাহত রেখে ওয়েলসের বিরুদ্ধে টানা সপ্তম জয় ছিনিয়ে নিল ইংল্যান্ড। প্রথম দুটি ম্যাচের প্রথম একাদশ একই রাখলেও ওয়েলসের বিরুদ্ধে চারটি পরিবর্তন করেছিলেন গ্যারেথ সাউথগেট। ম্যাসন মাউন্ট, রাহিম স্টার্লিং, বুকায়ো সাকা, কাইরন ট্রিপিয়ারের পরিবর্তে শুরু থেকে এদিন তিনি নামান কাইল ওয়াকার, ফিল ফডেন, মার্কাস রাশফোর্ড ও জর্ডান হেন্ডারসনকে। রাশফোর্ড, বেলিংহ্যাম, ফডেনরা যেভাবে আক্রমণ তুলে আনছিলেন তাতে কপাল ভালো থাকলে প্রথমার্ধেই কয়েক গোলে এগিয়ে থাকতে পারতো থ্রি লায়ন্স। বল দখলের লড়াইয়ে ওয়েলসকে কার্যত দাঁড়াতেই দেয়নি ইংল্যান্ড।
বিরতিতে খেলার ফল ছিল গোলশূন্য। ততক্ষণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১ গোলে ইরানের বিরুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় ওয়েলস। এই গ্রুপের চারটি দলের কাছেই শেষ ষোলোয় যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু প্রথমে ইউএসএ-র এগিয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ার্ধে গোলের মালা পরে ম্যাচ থেকে ক্রমেই হারিয়ে যায় ওয়েলস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নামেননি গ্যারেথ বেল। ওয়েলসের হয়ে বিশ্বকাপের শেষ ম্য়াচ এদিনই খেলে ফেললেন কিংবদন্তি বেল। ৫০ মিনিটে রাশফোর্ডের গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। এর একটু পরেই ব্যবধান বাড়ান কলকাতায় যুব বিশ্বকাপে মাতিয়ে যাওয়া ফিল ফডেন।
২ গোল হজমের পর শেষ ষোলোয় যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখতে ওয়েলসকে অন্তত তিনবার ইংল্যান্ডের জালে বল জড়াতেই হতো। কিন্তু খেলার যা গতিপ্রকৃতি ছিল তাতে তা সম্ভব ছিল না। এরই মধ্যে ৬৮ মিনিটে রাশফোর্ড ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ইংল্যান্ডকে। এটি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের শততম গোল। একের পর আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে ওয়েলসের বক্সে। রাশফোর্ডের হ্যাটট্রিকও হয়ে যেতে পারতো। একবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছেও গিয়েছিলেন। ৭৬ মিনিটে তাঁকে তুলে নিয়ে পিটার গ্রিলিশকে নামান সাউথগেট। কোনও মেজর টুর্নামেন্টে এর আগে গ্রুপ পর্বে ৯ গোল করেনি ইংল্যান্ড। তিন গোলে এগিয়ে থাকার পরেও বেলিংহ্যাম, ফডেনরা গোলের খিদে নিয়ে ঝাঁপাতে থাকেন।