ঐতিহ্য এবং পরম্পরাকে বজায় রেখে ময়দানের ছোট-বড় সমস্ত ক্লাব মুখোরিত হয়ে উঠল নব বর্ষের প্রথম সকালে বার পুজো ঘিরে
ঐতিহ্য এবং পরম্পরাকে বজায় রেখে ময়দানের ছোট-বড় সমস্ত ক্লাব মুখোরিত হয়ে উঠল নব বর্ষের প্রথম সকালে বার পুজো ঘিরে
ঐতিহ্য এবং পরম্পরা মেনে বাংলা বছরের প্রথম দিন বার পুজো সাড়লো কলকাতার বিভিন্ন ফুটবল ক্লাব। তবে, প্রতিবারে মতো এ বছর বারপুজোয়া নজর ছিল তিন প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান এবং এটিকে মোহনবাগানের উপর।
তবে, করোনা অতিমারীর কারণে বিগত দুই বছর বারপুজো জাঁকজমক ভাবে হয়নি দুই প্রধানে, নমঃ নমঃ করেই গত দুই বছর সারা হয় পুজো।। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই চেনা ছবি ফিরে আসল ময়দানে।
দুই প্রধানেই বার পুজোর দিন মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ জুয়ান ফেরান্দো উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের মাঠে বার পুজোর সময়ে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লিস্টন কোলাসো, প্রীতম কোটালরা। এছাড়াও মোহনবাগান মাঠে দেখা পাওয়া যায় এক ঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলারের। বার পুজোয় সবুজ-মেরুন ক্লাবে এসে ঘুরে যান রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
মোহনবাগানের
নামে
জয়ধ্বনি
দিয়ে
প্রিয়
ফুটবলার
এবং
স্প্যানিশ
কোচকে
দেখতে
ক্লাবের
প্রাঙ্গন
ভরিয়ে
ছিলেন
সমর্থকেরা।
ক্রীড়াক্ষেত্রে
বাংলার
এই
সংস্কৃতি
দেখে
এটিক
মোহনবাগান
কোচ
জুয়ান
ফেরান্দো
অভিভূত।
তিনি
বলেন,
"দারুণ
লাগছে,
এত
মানুষ
এক
সঙ্গে
সকাল
বেলা
ক্লাবকে
ভালবেসে
ছুটে
এসেছে।
এক
কথায়
অনবদ্য,
এটা
একটা
সংস্কৃতি
এবং
এর
সঙ্গে
কত
মানুষের
যে
আবেগ
জড়িয়ে
আছে
তা
বুঝতে
পারছি।
এত
দিন
ফাঁকা
স্টেডিয়ামে
খেলতে
হয়েছে।
সমর্থকদের
সঙ্গে
সেই
ভাবে
যোগাযোগ
তৈরি
হয়নি
কোভিডের
কারণে।
বাঙালির
নতুন
বছরের
উৎসবে
উপস্থিত
থাকতে
পেরে
আমি
অত্যন্ত
খুশি।"
প্রীতম
কোটাল
সমর্থকদের
উদ্দেশ্যে
বলেছেন,
"আমাদের
ভাল
খেলার
অনুপ্রেরণা
আপনারা।
দল
ভাল
খেলুক,
খারাপ
খেলুক-
এভাবেই
আমাদের
পাশে
থাকবেন।"
মোহনবাগানের আগে এ দিন বার পুজো সমপন্ন হয় ইস্টবেঙ্গলে। সকাল সাড়ে ৭টায় বার পুজো শুরু হয় পদ্মাপারের ক্লাবে। বার পুজোর সময়ে মাঠে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার, এ ছাড়া ক্লাব অন্যান্য ক্লাব আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। এ দিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বার পুজোর সংকল্প হয় সহ সচিব রূপক সাহার নামে। লাল-হলুদের বার পুজো অনুষ্ঠানে ক্লাব তাঁবুতে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, মিহির বসু, শঙ্করলাল চক্রবর্তী প্রমুখ।
ময়দানের তথাকথিত ছোট ক্লাবগুলিতেও নিয়ম মেনে হয় বার পুজো। ঐতিহ্যবাহী খিদিরপুর ক্লাবে বার পুজোয় আলাদাই আমেজ থাকে। বছরের এই একটা দিন এয়ার লাইন্স রিক্সিয়েশন ক্লাবের মতো খিদিরপুর ক্লাবে ঘুরে যান ময়দানের তাবড় কর্তা ব্যক্তিত্বরা। আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জি, চেয়ারম্যান অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ সভাপতি সুব্রত দত্তকেও আড্ডার মেজাজে পাওয়া যায় খিদিরপুরে। এ ছাড়া সমর পালে উদ্যোগে ঘটা করে বার পুজো সারে এরিয়ান্স ক্লাব।