জোড়া হারের ধাক্কা কাটিয়ে বাগিচা শহরে জয়ের মুখ দেখল ইস্টবেঙ্গল
জোড়া হারের ধাক্কা কাটিয়ে বাগিচা শহরে জয়ের মুখ দেখল ইস্টবেঙ্গল
অবশেষে জয়ের মুখ দেখল ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার অ্যাওয়ে ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসিকে ১-০ গোলে পরাজিত করল লাল-হলুদ। এই জয়ের ফলে হারের হ্যাটট্রিক এড়াতে সক্ষক হল মশাল বাহিনী।
প্রবল চাপ সঙ্গে নিয়ে বেঙ্গালুরু উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন এবং দলের ফুটবলাররা। ডার্বিতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর জয়ের মুখ দেখতে না পাওয়ার ফলে লাল-হলুদ শিবিরে চাপ বাড়ছিল। ফুটবলারদের চাঙ্গা করতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ক্লাব কর্তারা। সমর্থকপুষ্ট ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়া এবং খেলার অর্থ কী তা বেশ ভাল মতোই টের পান স্টিফেন এবং তার ফুটবলাররা। সমর্থকদের রোষ আছরে পড়ছিল সমাজিক মাধ্যমে। এই রকম দমবন্ধ করা চাপের পরিবেশ থেকে স্বস্তিতে পারত একমাত্র জয়, সেই বহু কাঙ্খিত ইস্টবেঙ্গলের জয়ের ছবিই ধরা পড়ল শুক্রবারের কান্তিরাভায়। দলে হাতে গোনা যে কয়েকজন যোগ্য বিদেশি রয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ক্লেইটন সিলভার গোলে জয় পায় লাল-হলুদ।
এ দিন ম্যাচের শুরু থেকে মাঝমাঠ নির্ভর খেলা হয়। স্বাগতিক দল বেঙ্গালুরুর বল পজিশন গোটা ম্যাচে ছিল ৫৮ শতাংশ, তারা মোট ১০টি শট নিয়েছিল গোল লক্ষ্য করে তবে তার মধ্যে মাত্র একটি ছিল টার্গেটে। অপর দিকে, ৪২ শতাংশ বলের দখল রাখা ইস্টবেঙ্গলের ৯টি শটের মধ্যে ৪টি ছিল অন টার্গেট। প্রধামার্ধে উভয় দল গোল করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় থাকলেও প্রতিপক্ষের লকগেট খুলতে পারেনি। ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে ৬৯ মিনিটে। প্রতি আক্রমণে নাওরেম মহেশ সিং-এর দুরন্ত দৌড় এবং স্বার্থপরহীন ফুটবলের সৌজন্যে এই গোলটি পায় লাল-হলুদ। মাঠের বাম দিক দিয়ে নাওরেমের দৌড় এবং সামান্য পুসে পিছনে পড়ে যান বেঙ্গালুরু শেষ ফুটবলারটি। গতিতে পরাস্ত করে এর পর বক্সে ঢুকে ঠিকানা লেখা মাইনাস রাখেন নাওরেম। ক্লেইটনের মতো জাত ফুটবলারের ক্ষেত্রে এই বল মিস করা অসম্ভব ছিল। প্রত্যাশা মতোই গোলার মতো শটে বলকে জালে জড়িয়ে দেন ব্রাজিলীয় তারক। তবে, ম্যাচে এগিয়ে যেতে পারত বেঙ্গালুরু এফসি। ৬১ মিনিটে সহজতম সুযোগ হতছাড়া করেন রয় কৃষ্ণ।
এই ম্যাচে জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ছয় নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল, অপর দিকে ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বেঙ্গালুরু এফসি নেমে গেল নয় নম্বরে। শনিবার আইএসএল-এর ম্যাচে ১২ নভেম্বর মুখোমুখি হবে চেন্নাইয়িন এফসি এবং মুম্বই সিটি এফসি।
ফিরে দেখা: বিশ্বকাপ ফুটবলের সেরা ১০ নক্ষত্র, যাঁরা ফুটবলকে নিয়ে গিয়েছেন শিল্পের পর্যায়ে