ইস্টবেঙ্গলকে বিদায় জানিয়ে নতুন ঠিকানায় চললেন ঘরের ছেলে, এখনও আটকে চুক্তি জট
ইস্টবেঙ্গলকে বিদায় জানিয়ে নতুন ঠিকানায় চললেন ঘরের ছেলে, এখনও আটকে চুক্তি জট
ঐতিহ্যশালী ফুটবল ক্লাব নাকি নাট্যমঞ্চ- ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে কোনটা বললে যে ঠিক বলা হবে তা ইদানীং আর বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। যে ভাবে বিগত তিন বছরে দু'টি বিনিয়োগকারী সংস্থাকে ঠিক মতো কাজকরতে না দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সাবেক কর্তাদের এক অংশ ক্লাবের দখল রাখার জন্য একের পর এক যা নাটক করে চলেছে তা সিনেমার টানটান চিত্রনাট্যকেও হার মানায়।
ঠিক যেন অঙ্কের সমীকরণের মতো। ঝামেলা করো, ইনভেস্টার তাড়াও এবং মুখ্যমন্ত্রীর স্মরণাপন্ন হও। তিনি তো আসেছনই, সব মুশকিল আসান করে দেবেন। রাজ্যের মাননীয়ার ভরসায় ইস্টবেঙ্গলে এ এখন ফি বছরের নাটক। তবে, শীর্ষ কর্তার পরিচালনায় এবং তাঁর সঙ্গীসাথীদের অভিনয়ে এই নাটক মঞ্চস্ত করতে গিয়ে প্রতি বছর স্বপ্নের অকাল মৃত্যু হচ্ছে কোটি কোটি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের। শেষ দুই বছর চুক্তি জটে আটকে ভাল দল না করতে পারায় তলানিতে শেষ করতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। এ বার ইমামি'কে লাল-হলুদের নতুন বিনিয়োগকারী হিসেবে মু্খ্যমন্ত্রী ঘোষণা করার পরও আটকে রয়েছে চুক্তি জট। দুই পক্ষের আইনজীবীরা মিলে তৈরি করেছেন চুক্তির খসড়া। সেই চুক্তি বর্তমানে ইমামি কর্তারা খাতিয়ে দেখছেন। এর পর তা দেখবেন লাল-হলুদ কর্তারা। এখনও সই না হওয়ায় থমকে রয়েছে দল গঠন। এর ফলে হাতছাড়া হচ্ছে একের পর এক ফুটবলার।
লাল-হলুদের সঙ্গে অনেক দূর কথা এগোলেও চুক্তি জটের কারণেই সই করানো যায়নি বিশাল কাইথকে। জেরির সঙ্গে কথা পাকা হয়ে গিয়েছে কিন্তু তাঁকেও এখনও সই করানো যাচ্ছে না এই কারণে। এরই মধ্যে ইস্টবেঙ্গলকে বিদায় জানিয়ে চেন্নাইয়িন এফসি'তে সই করে দিলেন মহম্মদ রফিক। রফিকের সঙ্গে অনেক দিন আগেই পাকা কথা হয়ে গিয়েছিল চেন্নাইয়িনের। তিন মাস আগেই আমরা এই খবর করেছিলাম। সেই খবরেই শিলমোহর পড়ল। বৃহস্পতিবার দুই বারের আইএসএল জয়ী ক্লাবটির তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল রফিক সই করেছেন তাদের হয়ে। জাতীয় দলের জার্সিতে ১২ ম্যাচ খেলা রফিক ভারতীয় ফুটবলে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে ইস্টবেঙ্গলে খেলে। দেশের হয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ এবং ট্রাই নেশন সিরিজ তিনি জিতেছেন। লাল-হলুদের জার্সিতে চারটি আই লিগের পাশাপাশি তিনি খেলেছেন ফেডারেশন কাপ এবং এএফসি কাপে। ২০১৪ আইএসএল-এ অ্যাথলেটিকো ডি কলকাতার হয়ে ফাইনাল ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেছিলেন রফিকই।