রোনাল্ডোর আর্মব্যান্ডের চোখধাঁধানো দর, ব্যয় হবে জটিল রোগাক্রান্ত শিশুর চিকিৎসায়
সার্বিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে গোল বাতিলের পর রাগে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড খুলে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। নিলামে সেই আর্মব্যান্ডের উঠল চোখধাঁধানো দর। এই সংগৃহীত অর্থে হবে জটিল রোগাক্রান্ত শিশুর অস্ত্রোপচারে।
সার্বিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচ ছিল পর্তুগালের। দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচটি ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় রোনাল্ডোর দলকে। ম্যাচের শেষ লগ্নে ইনজুরি টাইমে রোনাল্ডোর গোল বাতিল নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে। রোনাল্ডো সার্বিয়ান গোলকিপারকে পরাস্ত করে বল গোলের দিকে ঠেলে সেলিব্রেশন শুরু করেছিলেন। যদিও এক ডিফেন্ডার এসে বল বের করে দেন। তবে রোনাল্ডো নিশ্চিত ছিল বল গোললাইন অতিক্রম করেছে। যদিও তা মানতে চাননি সহকারী রেফারি। ফলে গোল বাতিল হয়। যদিও রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে বল গোললাইন অতিক্রম করেছিল। এই ম্যাচে গোললাইন টেকনোলজি বা ভার ব্যবহার করা হয়নি। সেটি থাকলে এই ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ত পর্তুগাল।
গোল
বাতিলে
রেফারির
সঙ্গে
তর্ক
করে
সতর্কিতও
হন
রোনাল্ডো।
ম্যাচ
শেষে
তিনি
আর্মব্যান্ড
খুলে
মাটিতে
ছুড়ে
ফেলেন
এবং
সাজঘরে
চলে
যান।
অধিনায়ক
হিসেবে
তাঁর
এই
আচরণ
সমালোচিত
হয়।
এমনকী
ফিফা
তাঁকে
শাস্তি
দিতে
পারে
বলেও
জল্পনা
শুরু
হয়।
যদিও
রোনাল্ডো
পরে
বলেন,
দেশকে
নেতৃত্ব
দেওয়া
তাঁর
কাছে
অত্যন্ত
গৌরবের।
কিন্তু
এদিন
যা
হয়েছে
তাতে
আঘাত
পেয়েছে
গোটা
দেশ।
জয়
থেকে
অন্যায্যভাবে
বঞ্চিত
করা
হয়েছে
বলেও
দাবি
করেন
রোনাল্ডো।
পরে
অফিসিয়ালরাও
রোনাল্ডোর
কাছে
দুঃখপ্রকাশ
করেন।
রোনাল্ডো যে আর্মব্যান্ড ছুড়ে ফেলেছিলেন, সি অর্থাৎ ক্যাপ্টেনের আদ্যক্ষর লেখা সেই আর্মব্যান্ড মাঠ পরিষ্কারের সময় এক মাঠকর্মীর হাতে পড়ে। তাঁর কাছ থেকে সেই আর্মব্যান্ডটি সংগ্রহ করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ছয় বছর বয়সের এক শিশু স্পাইনাল মাসকুলার অট্রোফিতে আক্রান্ত। ওই জটিল রোগাক্রান্ত শিশুর অস্ত্রোপচার-সহ ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছে ওই সংস্থা। তারাই রোনাল্ডোর আর্মব্যান্ডটি তিনদিনের জন্য অনলাইন নিলামে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও তাতেও বিতর্ক কম হয়নি। ফেক বিডাররা অবিশ্বাস্য দর দিয়ে নিলাম প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা চালায়। সার্বিয়ার সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, অবশেষে ৬৪ হাজার ইউরো বা ৭৫ হাজার ডলার দাম দিয়ে ওই আর্মব্যান্ড বিক্রি হয়েছে। কে কিনেছেন তা অবশ্য প্রকাশ্যে আসেনি। ফেক বিডিংয়ের মাধ্যমে যারা এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।