কল্যাণ-৩৩ বাইচুং-১, পাহাড়ি বিছেকে হারিয়ে এআইএফএফ-এর নয়া সভাপতি নির্বাচিত হলেন কল্য়াণ চৌবে
পরাভূত বাইচুং, এআইএফএফ-এর নয় সভাপতি নির্বাচিত হলেন কল্য়াণ চৌবে
সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)-এর নয়া সভাপতি নির্বাচিত হলেন কল্যাণ চৌবে। ভারতীয় ফুটবলের আইকন বাইচুং ভুটিয়াকে ৩৩-১ ব্যবধানে পরাজিত করে ভারতীয় ফুটবলের সর্বময় কর্তার পদে নির্বাচিত হলেন কল্যাণ। সভাপতি পদে কল্যাণের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছিল বাইচুং-এর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্ট্রাইকরা এবং গোলরক্ষকের লড়াইয়ে, রক্ষণ দূর্গের শেষ প্রহরীই জয় ছিনিয়ে নিল।
এআইএফএফ-এর সভাপতি নির্বাচনে ফেভারিট হিসেবেই নির্বাচনে নেমেছিলেন কল্যাণ চৌবে। গুজরাট ফুটবল ফেডারেশন তাঁর নাম প্রস্তাব করে এবং তা সমর্থন করে অরুণাচল প্রদেশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের প্রাক্তন তারকা গোলরক্ষক-ই যে পরবর্তী সভাপতি হতে চলেছেন তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল কারণ কল্যাণ সমর্থনে ছিল অন্যান্য রাজ্য অ্যাসোসিয়েশনগুলি। কিন্তু বাইচুং মনোনয়ন জমা দেওয়া লড়াইটা কিছুটা শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে, শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই ঘটেনি। পাহাড়ি বিছেকে কার্যাত কোণঠাঁসা করে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন কল্যাণ।
শুক্রবারের নির্বাচনে বাইচুং-কে সমর্থন জানায়নি তাঁর নিজের রাজ্যের অ্যাসোসিয়েশন। কিছু দিন আগে সরাসরি নাম না করে সিকিম ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে এক কর্তা জানিয়েছিলেন তাঁরা সমর্থন জানাবেন না বাইচুংকে।
১৯৯৮ সালে টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির পাস আউট গোল্টেন ব্যাচের সদস্য কল্যাণ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১'টার ছিল ডেড লাইন এই নির্বাচন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার। দুপুপ ১'টার পর রিটার্নিং অফিসার উমেশ সিং নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা সামনে আনেন। সভাপতি, সহ সভাপতি, কোষাধক্ষ্য, ১৪ জন এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য পদ পাওয়ার জন্য নির্বাচন হয়। কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদের জন্য মাত্র 14 জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের সবাইকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। এরা হলেন জি পি পালগুনা, অভিজিৎ পাল, পি অনিলকুমার, ভালাঙ্কা নাতাশা আলেমাও, মালোজি রাজে ছত্রপতি, মেনলা এথেনপা, মোহন লাল, আরিফ আলি, কে নেইবৌ সেকহোসে, লালংহিংলোভা হমার, দীপক শর্মা, বিজয় বালি, সৈয়দ ইমতিয়াজ হুসেন। ফুটবলারদের প্রতিনিধি হিসেবে এআইএফএফ-এর নয়া কার্যকরী কমিটিতে থাকবেন বাইচুং ভুটিয়া, আইএম বিজয়ন, সাব্বির আলি এবং ক্লাইম্যাক্স লরেন্স। ভারতের জার্সিতে এই চার ফুটবলার সর্বাধিক সংখ্যক ম্যাচ খেলেছেন।
কল্যাণ চৌবে এবং তাঁর নেতৃত্বে এআইএফএফ-এর সব থেকে বড় অ্যাসাইনমেন্ট হতে চলেছে দেশের মাটিতে হতে চলা ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ সফল ভাবে আয়োজন করা এবং ভারতীয় ফুটবলকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া।
Asia Cup 2022: 'স্পিনারদের নো বল করাটা অপরাধ', জেতা ম্যাচ হেরে বোলারদের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শাকিব