ইংল্যান্ডের প্রধান ৬ ক্লাবের নিষ্ক্রমণে ভেস্তে গেল ইউরোপীয় সুপার লিগ, শেষ হাসি উয়েফার
৬ ক্লাবের নিষ্ক্রমণে ভেস্তে গেল ইউরোপীয় সুপার লিগ
ইংল্যান্ডের ছয় বড় ক্লাবের নিষ্ক্রমণে ভেস্তে গেল ইউরোপীয় সুপার লিগ। এ লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল ফিফা ও উযেফা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সমান্তরাল এই ফুটবল টুর্নামেন্ট বন্ধ করার কথা জানিয়ে মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের বড় ফুটবল ক্লাবগুলিকে শেষ বারের মতো সাবধান করেছিল ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা। সম্ভবত সেই কারণেই ছয় ব্রিটিশ ক্লাবের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন ফুটবল প্রেমীরা।
সরে এল ৬ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করল প্রিমিয়ার লিগের ছয় ক্লাব। প্রথমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সমান্তরাল ইউরোপীয় সুপার লিগে অংশগ্রহণের কথা জানিয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, চেলসি, আর্সেনাল ও টটেনহ্যাম হটস্পার। বুধবার তারাই নিজেদের পুরনো সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে। এর জেরে ইউরোপীয় সুপার লিগের পরিকল্পনাও ভেস্তে গিয়েছে বলা চলে।
সাবধান করেছিল উয়েফা
ইউরোপীয় সুপার লিগে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা ছয় বড় প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবকে শেষ বারের জন্য সাবধান করেছেন উয়েফা। সংস্থার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দের কেফেরিনের কথায়, লোভের কারণে বড় ভুল করতে চলেছে বিশ্ব কাঁপানো ক্লাবগুলি। এই ভুলের মাশুল গুনতে হবে বলে হুমকি দিয়েছেন উয়েফা প্রেসিডেন্ট।
সতর্ক করেছিল ফিফা
ইউরোপীয়ান সুপার লিগমুখী ক্লাবগুলিকে কড়া বার্তা শুনিয়েছে ফিফা। সংস্থার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর কথায়, থাকতে হলে সম্পূর্ণ ভাবে থাকতে হবে, না হলে নয়। দুই নৌকায় পা দিয়ে টিকে থাকার কোনও মানে হয় না বলে মনে করেন ফিফা প্রধান। তিনি বিশ্বাস করেন, ইএসএল বিশ্বের ফুটবল সংস্কৃতিকে নষ্ট করবে। ফুটবল প্রেমী এবং ফুটবলারদের মধ্যে এর বিরূপ ফলাফল সুদূরপ্রসারী হবে বলেও মনে করেন ইনফান্তিনো।
ইউরোপীয় সুপার লিগ এক ভাবনা
সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হতে চলা ইউরোপিয়ান সুপার লিগ বা ইএসএলে অংশ নেওয়ার কথা ছিল ইংল্যান্ডের আর্সেনাল, চেলসি, লিভারপুল, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম হটস্পার। স্প্যানিশ লিগ থেকে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও আটলোটিকো মাদ্রিদ এই লিগে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ইতালিয় লিগ থেকে এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে্ বলে ঠিক করেছিল জুভেন্টাস, এসি মিলান ও ইন্টার মিলান। আরও তিনটি ইউরোপীয় ক্লাবের যোগদানের সম্ভাবনা ছিল। পুরুষ-নারী উভয় স্তরেই এই লিগের আসর বসবে বলে জানানো হয়েছে। লিগ ২০ দলের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল বলে খবর। ১৫টি ক্লাব ইএসএলের প্রতিষ্ঠিত সদস্য হওয়ার কথা ছিল। যেখানে এক একটি বিভাগে দশটি করে দল হোম এবং অ্যাওয়ে ফর্ম্যাটে ফুটবল খেলবে বলে জানানো হয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতোই নক আউট পর্ব শেষে কোনও এক নিরপেক্ষ মাঠে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছিল।ইউরোপের বড় ফুটবল ক্লাবগুলি এক বছর আগে থেকেই এর উদ্যোগ নেওয়া শুরু করেছিল বলে জানানো হয়েছে। অতিমারী পরিস্থিতিতে ফাঁকা মাঠে লিগের ম্যাচগুলি আয়োজন করে ক্লাবগুলি যে আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছে, তা পূরণ করার জন্যই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সমান্তরাল ফুটবল টুর্নামেন্টের আসর বসানোর ভাবনা বলে মনে করা হয়েছিল।