
রাজীব গান্ধী হত্যা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস প্রাক্তন সিবিআই প্রধানের, কোন তথ্য জেনে নিন ফটোফিচারে
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর বিশেষ নিরাপত্তা বলয় কেন সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল? রাজীব গান্ধীর হত্যা হয়েছিল ১৯৯১ সালের ২১ মে। তার ঠিক আগের দিন এনএসজি কভার ফের ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। অথচ তাঁর উপরে হামলা হতে পারে তার খবর বেশ কয়েকমাস আগে থেকে এসেছিল।
১৯৯১ সালের ২১ মে রাজীব গান্ধীর হত্যা হয়। এই ঘটনায় সিবিআইয়ের মুখ্য তদন্তকারী কে রাগোত্তমন উপরিউক্ত প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রকাশ্যে।
ওয়ানইন্ডিয়ার সঙ্গে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, রাজীবের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিশেষ নিরাপত্তারক্ষীদের হাত থেকে সরিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়। যখন কারও উপরে হামলার পূর্বাভাস থাকে, সেইসময়ে এভাবে নিরাপত্তা বদলে দিল্লি পুলিশের হাতে কীভাবে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে, প্রশ্ন তুলেছেন রাগোত্তমন। তিনি জানিয়েছেন, রাজীবের উপরে হামলা হতে পারে তা আন্তর্জাতিক এজেন্সি যেমন জানিয়েছিল, তেমনই প্যালেস্তাইন থেকেও সতর্ক করা হয়েছিল।

ভিডিও কোথায়?
শ্রীপেরাম্বেদুরে যেখানে রাজীব হত্যা হয়, সেখানে তিনি পৌঁছনোর আগে ভিডিও তোলা হয়। তিনি পৌছনোর পরও ভিডিও তোলা হয়। সেই ভিডিও কোথায় গেল? প্রশ্ন কে রাগোত্তমনের। সেই ভিডিওর খোঁজ আজও মেলেনি। সেটাকে ইচ্ছে করে চেপে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। আরও দাবি, ইন্টেলিজেন্সের এক আধিকারিকই ভিডিওটি চেপে দেয়। বরং এক সাংবাদিক এই মামলায় আইবিকে অনেক সাহায্য করেছে।

সিআইএ নয় এলটিটিই, জানায় র'
রাজীব হত্যার পর র' এর তরফ থেকে জানানো হয় যে এলটিটিই নয় সিআইএ এই হামলার পিছনে রয়েছে। এমনকী রাজীব হত্যা নিয়ে ভুল তথ্য জুগিয়ে তদন্তকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন কে রাগোত্তমন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকেও জানানো হয় ঘটনায় জড়িত সিআইএ।

ইন্টেলিজেন্সের কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি
রাগোত্তমন জানিয়েছে, র' এই ব্যাপারে কোনও সাহায্য করেনি। কোনও তথ্য সরবরাহ করেনি। যখন কিট্টোর খোঁজ করা হচ্ছে, তখন তাকে প্রত্যর্পণ করতে রাজি হয়নি যুক্তরাজ্য সরকারও। পরে তাকে খতম করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। প্রভাকরণের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগসূত্রের বড় মাধ্যম ছিল কিট্টো। এছাড়া অনেকে বলেন, আর এক আন্তর্জাতিক লিঙ্কম্যান ছিল অ্যান্টন বালাসিঙ্ঘম। তবে রাগোত্তমনের মতে অন্য বড় লিঙ্ক ছিল কেপি।

তদন্ত নিয়ে...
কেন পরে এই ঘটনা নিয়ে সিটের তদন্ত হল না, প্রশ্ন তুলেছেন রাগোত্তমন। তাঁর মতে, ভার্মা কমিশন নিজের রিপোর্টে ইন্টলিজেন্স এজেন্সির গা ছাড়া মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তা নিয়েই সিটের তদন্ত করার কথা ছিল। তবে আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারল না তদন্তে কী উঠে এসেছিল।

শিবারসনকে আনতে বিলম্ব
রাগোত্তমনের মতে ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি জানত শিবারসন কোনানকুন্টেতে লুকিয়ে রয়েছে। তবে সেই তথ্য পরে জানানো হয়। এজেন্সির কাছে এলটিটিই নিয়েও তথ্য ছিল। তবে সব জেনেও এনএসজি একদিন পরে পৌঁছয়। তার আগেই এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নথি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আগে পৌঁছতে পারলে তথ্যও এভাবে পুড়ে ছাই হতো না এবং আমরা অনেক তথ্য জোগাড় করতে পারতাম, এমনটাই দাবি রাগোত্তমনের।