ছবিতে দুর্গাপূজা: দেবী দুর্গা কে? কেনই বা তাঁর অকালে বোধন হয়?
কখনও তিনি মহামায়া, কখনও বা ঊমা। কখনও আবার মহিষাসুরমর্দিনী। এমনই বহু নামে মর্তে পূজিত হন দেবী দূর্গা। শক্তির আধার দেবী দুর্গাকে আরাধনার মাধ্যমেই প্রতিবছর শারদীয়া উত্সবে মেতে ওঠে বাঙালি। মৃণ্ময়ীর পুজো থেকে পেটপুজো, আলোর রোশনাই, বাহারি পোশাক কোনটারই কমতি থাকে না চারদিনের সার্বজনীন এই উতসবে। আর এই উতসব ঘিরে রয়েছে নানা মতবাদ নানা মতামত।
পুরাণ
ও
দুর্গাপূজা
ব্রহ্মার
বরদান
পেয়ে
অপ্রতিরোধ্য
হয়ে
উঠেছিল
অসুররাজ
মহিষাসুর।
যুদ্ধে
অসুরবাহিনীর
কাছে
পরাস্ত
হয়ে
সিংহাসন
হারিয়েছিলেন
দেবতা
ইন্দ্র।
স্বর্গে
দেবতাদের
প্রবেশ
নিষিদ্ধ
হয়ে
গিয়েছিল।
সমস্যার
সমাধানের
জন্য
ভগবান
বিষ্ণুর
দ্বারস্থ
হন
দেবতারা।
কিন্তু
কোনও
মহিষাসুরকে
রুদ্ধ
করার
কোনও
কৌশল
খুঁজে
পাচ্ছিলেন
না
কেউই।
কারণ
ব্রহ্মার
বরদান
অনুযায়ী
কোনও
পুরুষ
বা
কোনও
দেবতা
মহিষাসুরকে
বধ
করতে
পারবে
না।
সেই কারণেই অসুরিনধনে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের ত্বেজ থেকে জন্ম হয় ময়ামাহার। হিন্দুশাস্ত্র মতে, কাত্যায়ণ ঋষির আশ্রমে দূর্গার জন্ম হয়েছিল বলে তাঁর আর এক নাম কাত্যায়ণী। আশ্রমেই শুক্লসপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী এই তিনদিন আরাধনার মাধ্যমে দেবীর আবাহন করেন ঋষি কাত্যায়ণ। চতুর্থিদন অর্থাত দশমীতে মহিষাসুরবধ করেন দেবী।
অকাল
বোধন
শরত্কালে
আশ্বিন
মাসে
চিরাচিরত
দূর্গাপুজো
হয়ে
থাকে
তাই
এই
উতসবের
আর
এক
নাম
শারদীয়া।
কিন্ত
রাবণের
সঙ্গে
যুদ্ধে
যাওয়ার
আগে
দেবী
দূর্গাকে
তুষ্ট
করতে
বসন্তকালেই
দেবীর
আবাহণ
করেন
অযোধ্যার
রাজা
রামচন্দ্র।
অন্যসময়ে
বা
অকালে
দেবীর
বোধন
হয়
বলে
এই
পূজা
অকাল
বোধন
নামেই
পরিচিত।
১০৮টি
নীলপদ্ম
দিয়ে
পুজো
করলে
দেবী
প্রসন্ন
হবেন
একথা
জানতেন
রাম।
আর
তাই
নীলপদ্মের
সন্ধানে
সারা
পৃথিবী
ঘুরে
বেড়ান
তিনি।
কিন্তু
১০৭টি
পদ্ম
খুঁজে
পান
তিনি।
বাকি
একটি
পদ্মের
ঘাটতি
মেটাতে
নিজের
একটি
চোখ
দেবীর
কাছে
সমর্পণ
করার
সিদ্ধান্ত
নেন
রাম।
এহেন
শ্রদ্ধায়
সন্তুষ্ট
হয়ে
দেবী
রামের
সম্মুখে
প্রকট
হয়ে
আশীর্বাদ
দেন।
যুদ্ধ
শুরু
হয়
সপ্তমীতে।
ভয়াবহ
যুদ্ধ
চলতে
থাকে।
অবশেষে
অষ্টমী
ও
নবমীর
সন্ধিক্ষণে
রামের
হাতে
মৃত্যু
হয়
রাবণের।
দশমীর
দিন
রাবণের
শবদাহ
করা
হয়।
বাংলায়
প্রথম
দুর্গাপুজো
বাংলায়
কবে
ও
কারা
প্রথম
দূর্গাপুজোর
প্রচলন
করেন
তা
নিয়ে
অনেক
মতভেদ
রয়েছে।
ইতিহাসের
পাতা
ঘেটে
জানা
যায়
১৫০০
সালে
বাংলায়
প্রথম
দূর্গাপুজো
হয়।
দিনাজপুর
ও
মালদহের
জমিদাররা
প্রথম
দূর্গাপুজোর
শুরুর
পরিকল্পনা
নেন।
কারও
মতে,
তাহেরপুরের
রাজা
কংসনারায়ণ
প্রথম
সাড়ম্বের
দূর্গাপুজো
শুরু
করেন।
কারও
দাবি
নদিয়ার
ভাষানন্দ
মজুমদার
প্রথম
শারদীয়া
পুজোর
সূচনা
করেন
বাংলায়।
বারোয়ারি
পুজো
১৯১০
সালে
প্রথম
শারদীয়া
পুজো
জমিদার
ও
বাবু
ঘরানার
বাইরে
বেরিয়ে
সাবর্জনীন
হয়ে
ওঠে।
সনাতনী
ধর্মোতসাহিনি
সভার
আয়োজনে
কলকাতার
বাগবাজারে
প্রথম
সাধারণ
মানুষের
জন
শুরু
হয়
সার্বজনীন
দূর্গোতসব।
কুমারী
পুজো
নিজের
চার
সন্তানকে
নিয়ে
প্রতিবছর
চারদিনের
জন্য
বাপের
বাড়ি
ঘুরেত
আসেন
ঊমা।
এই
চারদিনের
মধ্যে
বিভিন্ন
রূপে
পূজিত
হন
দেবী।
যার
মধ্যে
একিট
হল
কুমারী
রূপ।
যা
মহাশক্তির
সবচেয়ে
দৃঢ়
রূপ
বলে
মনে
করা
হয়
হিন্দুশাস্ত্রে।
অষ্টমীতে
কখনও
বা
নবমীতে
এক
থেক
ষোলো
বছরের
মেয়েদের
দেবীর
কুমারী
রূপ
হসাবে
পুজো
করা
হয়।
১৯০২
সালে
বেলুড়
মঠে
প্রথম
কুমারী
পুজোর
প্রচলন
করা
হয়।
কলাবউ
ও
নবপত্রিকা
দুর্গাপুজোয়
গণেশর
সঙ্গে
কলাবউয়েরও
পুজো
করা
হয়।
কথায়
বলে
গণেশের
বউ
কলাবউ।
কিন্তু
বাস্তবে
গণেষর
সঙ্গে
কলাবউয়ের
কোনও
সম্পর্কই
নেই।
শাস্ত্রে
একে
নবপত্রিকা
বলা
হয়।
জানা
যায়,
ফসলের
সম্বৃদ্ধির
জন্য
পালিত
হওয়া
জনপ্রিয়
প্রাচীন
রীতি
নবপিত্রকা
নামে
প্রচলিত।
শরতকালে
কলাগাছ,
কচুগাছ,
হলুদগাছ,
জয়ন্তীগাছ,
বেলগাছ,
ডালিমগাছ,
মানকচু,
ধানগাছ
ও
অশোকগাছ
এই
৯টি
বৃক্ষকে
পুজো
করা
হত।
পরে
যখন
দুর্গাপুজা
জনপ্রিয়
হয়
তখন
নবপিত্রকার
রীতিকেও
এর
অন্তর্ভূক্ত
করা
হয়।
দুর্গাপুজোয়
নবপিত্রকার
প্রতিনিধি
স্বরূপ
কলাগাছকে
মন্ডপে
রাখা
হয়।
কলকাতার পুজো
কলকাতার একটি পুজো মন্ডপে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায়ে| ছবি: সুরজিত মিত্র
কলকাতার পুজো
ষষ্ঠীতে দক্ষিন কলকাতার এক পুজোর মন্ডপে| ছবি: অভিজিত সুকুল
কলকাতার পুজো
সাউথ সিটির পুজো| ছবি: জয়ন্ত মণি
কলকাতার পুজো
একটি মন্ডপের প্রতিমা
কলকাতার পুজো
৪১ পল্লীর মন্ডপের প্রবেশপথ| ছবি: অভিজিত সুকুল
বাঙ্গালোরের পুজো
বাঙ্গালোরের একটি দুর্গাপ্রতিমা | ছবি: সৌমিতা মজুমদার
বাঙ্গালোরের পুজো
ব্যাঙ্গালোরে থিমের দূর্গা প্রতিমা
বাঙ্গালোরের পুজো
ব্যাঙ্গালোরে একটি মন্ডপে ডাকের সাজের প্রতিমা
কলকাতার পুজো
কলকাতার একটি অভিনব মন্ডপ |
নয়াদিল্লির পুজো
নয়া
দিল্লিতে
একটি
পুজো
উদ্বোধনের
পর
আরামবাগ
পুজো
সমিতির
কর্মকর্তার
হাতে
স্মারক
তুলে
দিচেছন
প্রাক্তন
রাষ্ট্রপতি
এ
পি
জে
আব্দুল
কালাম
নয়াদিল্লির পুজো
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম নয়াদিল্লিতে একটি পুজোর উদ্বোধন করছেন |