এই অনুষ্ঠান দেখতে হলে আপনাকে যেতেই হবে বাঁকুড়ার জয়পুরে
বাংলার আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে নানা অজানা কাহিনী। বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের প্রাসাদপুর গ্রামের অদূরে প্রাদুমপুর গ্রামের কাঠি নাচ এমনই একটি সংস্কৃতি। মল্ল রাজ পরিবারের দুর্গা পুজোর দশমীতে হয় এই অনুষ্ঠান
বাংলার আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে নানা অজানা কাহিনী। বাঁকুড়া তার ব্যতিক্রম নয়। জয়পুর ব্লকের প্রাসাদপুর গ্রামের অদূরে প্রাদুমপুর গ্রামের কাঠি নাচ এমনই একটি সংস্কৃতি। মল্ল রাজ পরিবারের দুর্গা পুজোর দশমীতে হয় এই নাচ।
গ্রাম বাংলার লোক শিল্প ও সংস্কৃতির গল্পগাথা আজ বিলুপ্ত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গিয়েছে লোক কাহিনীর ধারাগুলি। তবুও এরই মধ্যে কেউ বা আবার বংশপরম্পরাক্রমে বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোগী হয়েছেন এই সব হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতিকে। এরকমই জয়পুর ব্লকের প্রাসাদপুর গ্রামের অদূরে প্রাদুমপুর গ্রাম। এই গ্রামে প্রাচীন মল্ল ভূমি গড়-পাদুমপুর নগরের দ্বিতীয় মল্ল রাজ পরিবারের দুর্গা পুজো প্রায় ছশো বছরের পুরনো। এই পুজো কে কেন্দ্র করে একসময় এলাকার সমস্ত মানুষ কাঠি নাচে মেতে উঠতেন। অনুষ্ঠানে ছেলেরা সাজতেন মেয়ে।
রাজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সমস্ত মল্লভূম বিজয়া দশমীর দিন উৎসবে সামিল হতেন । সেই গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী লোক সংস্কৃতি কাঠি নাচের মধ্য দিয়ে নাচের সঙ্গে দেবী দুর্গার বিভিন্ন গান করা হতো। সেই কাঠি নাচের ধারাকে এখনও বজায় রেখে চলেছে কয়েকটি পরিবার। কাঠি নাচের দল নিয়ে পুজো মণ্ডপের সামনে গানের সুরে তালে কাঠিনাচ দেখিয়ে আজও আনন্দ দেন তারা। সেইসঙ্গে ধরে রেখেছেন রাজ ঐতিহ্যকে।