খবরটা দেখে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্তরা একটু স্বস্তি পেতে পারেন
ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্তদের জন্য নতুন ওষুধ। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষার পর্যায়ে থাকলেও, তা মানুষের ওপরও ফলপ্রসু হবে বলে আশাবাদী চিকিৎসকরা।
বাজারে ক্যান্সার যেমন আছে, তার ওষুধও আছে। ব্লাড ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও তাই। রোগের ভয়াবহতা যেমন বাড়ছে, তার মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উটা বিশ্ববিদ্যালয়ের হান্টসম্যান ক্য়ানসার ইনস্টিটিটের একদল মার্কিন বিজ্ঞানী হিস্টোন ডেসিটাইলেস (এইচ ডি এ সি) ওয়ান ও টু নামে দুটি প্রোটিনকে কেমোথেরাপির সঙ্গে প্রয়োগ করে ভাল ফল পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। যা ডিএনএ-র মেরামতিতে সাহায্য করে।
ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে দেখা গেছে, তার বোনম্যারো ফ্যাকাসে থেকে লাল হচ্ছে। অর্থাৎ দেহে লোহিত রক্ত কনিকার সংখ্যা বাড়ছে। বিজ্ঞানীদের এই কাজ রোগীদের কাছে নতুন করে জীবনী শক্তি নিয়ে আসছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
উটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী শ্রীবিদ্যা ভাস্করা জানিয়েছেন, ওই ওষুধ প্রয়োগে ফিলাডেলফিয়া ক্রোমোজোম দ্রুত ডিএনএ-র মেরামতি করে। তিনি জানিয়েছেন, যখন সাধারণ ওষুধটি কম ঘনত্বের ডক্সোরুবিসিনের সঙ্গে দেওয়া হয় তখন একটা বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু যখন তা হিস্টোন ডেসিটাইলেস (এইচ ডি এ সি) ওয়ান ও টু-এর সঙ্গে দেওয়া হয়, তখন তা লিউকোমিয়ার পরিমাণকে কমিয়ে দেয়।
ইঁদুরের ওপর ডক্সোরুবিসিন যখন প্রয়োগ করা হয়তখন লিউেকোমিয়া ৫০-৭০ % কমে যায়। কিন্তু যখন হিস্টোন ডেসিটাইলেস (এইচ ডি এ সি) ওয়ান ও টু-এর সঙ্গে দেওয়া হয়,আরও উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যায়।
বিজ্ঞানীদের এই প্রচেষ্টা চিকিৎসা বিজ্ঞানে শুধু নয়, ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্তদের নতুন দিশা দেখাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। তবে সবে মাত্র ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ হওয়ায় এখনও তা বাজারে আসতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে।